ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভিপি মারুফের এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ইউনিয়নের খাগাতুয়া ভোরের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ মিয়া ওই ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মাসুদ তার ভাগ্নিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসক দেখানোর উদ্দ্যেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়ে খাগাতুয়া ভোরের বাজারে যান। সেখানে চা খাওয়ার সময় নৌকার সমর্থক এডভোকেট রব মিয়া, শফিক মিয়া, আলম মিয়া, ফজু ও লিটন মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে তাকে সিএনজিতে তুলে নেয়। এরপর খাগাতুয়া পশ্চিম পাড়া কবরস্থান সংলগ্ন নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এনে দ্বিতীয় দফায় কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেয়ার সময় দুপুরে মারা যান মাসুদ।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। রতনপুর ইউনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম আতংক।
নিহতের ভাগ্নি শারমিন আক্তার বলেন, ‘ আমাদের সামনে এডভোকেট রব মিয়া, শফিক মিয়া, আলমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী সিএনজি দিয়া আইসা আমার মামাকে কুপিয়ে সিএনজি দিয়ে পশ্চিম পাড়া শাকিল মিয়ার নৌকার অফিসের সামনে আবার কুপাইছে। আনারস মার্কার নির্বাচন করার কারণে আমার মামারে খুন করছে।’
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভিপি মারুফ বলেন, ‘আমার কর্মী মাসুদের উপর পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।'
নৌকা'র প্রার্থী সৈয়দ জাহিদ হোসেন শাকিল বলেন, 'এই ঘটনায় বিচার হওয়া উচিৎ। এর সাথে আমার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত না। এটা তাদের পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঘটেছে।’
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ বলেন, ‘এটা একটি বিচ্ছিন ঘটনা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, 'তদন্ত স্বাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার জন্য ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকে দায়ী করলেন আইনমন্ত্রী