জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির সদরদপ্তরে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচয়পত্র পেশ করার পর রাষ্ট্রদূত মুহিত এবং মহাসচিব লজ একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।
উক্ত বৈঠকে তারা বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২০১৬ সালে অথরিটির অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্সি এবং ২০২০ সালে কাউন্সিলে প্রেসিডেন্সির কথা উল্লেখ করে মহাসচিব ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির কাজে বাংলাদেশের অমূল্য অবদানের গভীর প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ৩ সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত মুহিত
সুনীল অর্থনীতিকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত আমাদের সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা এবং যথাযথ ব্যবহারের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটির মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ প্রেক্ষিতে মহাসচিব আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশসহ ১৬৭টি রাষ্ট্র নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সিবেড অথরিটি গঠিত। সংস্থাটি সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে আন্তর্জাতিক গভীর সমুদ্র তলদেশে খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও মার্কিন সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে: রাষ্ট্রদূত মুহিত