ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম আচেহ প্রদেশের মেউলাবোহ উপকূলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম 'বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন'।
বৃহস্পতিবার উদ্ধার অভিযান চলার সময় প্রায় ৭৫ জনকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএম সম্ভাব্য প্রাণহানির পরিমাণ সম্পর্কে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’। কারণ, উদ্ধার হওয়া শরণার্থীরা নৌকায় মোট ১৫১ জন থাকার কথা জানিয়েছেন।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০ মার্চ পশ্চিম আচেহ’র স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করা ৬ শরণার্থীর কথা জানান। একই দিনের প্রথম দিকে উপকূল থেকে প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ধার
বান্দা আচেহ থেকে জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা একটি উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ডুবে যাওয়া নৌকাটি ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে শনাক্ত হয়।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএম দলকে পশ্চিম আচেহে মোতায়েন করা হয়েছে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫২ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
শুক্রবার ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হলে তা হবে এ বছরের সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা।
ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নৌকায় আগমনের উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার মধ্যে এই ঘটনা ঘটল।
শুধু ২০২৩ সালেই ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে, যা নভেম্বরের পর থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যা আগের ৪ বছরের সম্মিলিত আগমনের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
ইউএনএইচসিআর ও আইওএম ইন্দোনেশিয়ায় আগত শরণার্থীদের জরুরি মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টা জোরদার করছে।