শনিবার রাজধানীতে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নীতিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। আমরা ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় খুব গুরুত্ব দেব।’
‘আমাদের ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। এটা হ্রাসের কোনো সুযোগ নেই, কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বাড়ছে। গত ১০ বছরে এসব পণ্যের ব্যবহার যে পরিমাণ বেড়েছে তা আগের ৩০ বছরেও হয়নি। দেশ যত বেশি ডিজিটাল হবে তত বেশি ডিজিটাল সমস্যা তৈরি হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ মনে করা হলেও এখন তাকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রীর মতে, এখন সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হলেও ১০ বছর পর ইউনিয়ন পরিষদকেও এ দায়িত্ব দিতে হবে। বর্জ্য যাতে সম্পূর্ণভাবে সংগ্রহ করা যায় সে জন্য একটি ‘বিজনেস প্ল্যান’ করার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারক সমিতি (বিএমপিআইএ) জানায়, ২০১৮ সালে দেশে এক লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এক হাজার টন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমরেড মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২০২১ সালে দেশে ১ হাজার ১৭০ টন মোবাইল ই-বর্জ্য বের হবে।
প্রতিবছর প্রায় চার কোটি মোবাইল ফোন আমদানি হচ্ছে জানিয়ে বিএমপিআইএ সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, ই-বর্জ্য বেশি দামে কিনলে গ্রাহকেরাও তা বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাবে।
তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে ঢাকার পাঁচটি জায়গা থেকে ই-বজ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে সংগ্রহ পয়েন্ট করা হবে। এ জন্য বিটিআরসির সহযোগিতা চান তিনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রওশন আক্তার বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় এখানে কোনো ডেটাবেজ নেই। বর্জ্য সংগ্রহটাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান তিনি।
টিআরএনবির সভাপতি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।