উৎপাদিত পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত হওয়া সত্ত্বেও অপর্যাপ্ত মজুদ সুবিধা ও সংরক্ষণাগারের অভাবে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবায় নেদারল্যান্ড সরকারের উদ্যোগে নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দুই বছরে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, যা চাহিদার চেয়েও বেশি। কিন্তু পেঁয়াজ খুবই পঁচনশীল হওয়ায় ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়।
পেঁয়াজ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে ও ভর্তুকিমূল্যে বীজ, সার প্রদানসহ সব রকমের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে, অপচয় বা পোস্ট হার্ভেস্ট লস কমাতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ফসল তোলার পর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। এত বেশি অপচয় কমিয়ে আনতে হবে।
পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের উদ্যোগ গ্রহণ করায় নেদারল্যান্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার দেশের কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের জন্য খুবই উপকারে আসবে। কৃষকেরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবে।
এ সময় নেদারল্যান্ডের ও বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আরও পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিরোজ হাসান।
দেশের জায়ান্ট এগ্রো প্রসেসিং নেদারল্যান্ডের সহযোগিতায় ৪০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার সংরক্ষণাগারটি নির্মাণ করেছে। এটি তৈরিতে নেদারল্যান্ডের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।