বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে খুলনার কয়রায় অবস্থান করছে।
সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ ইউএনবিকে বলেন, তীব্র ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র এখন খুলনা-সাতক্ষীরা এলাকায় অবস্থান করছে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে আরও ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগবে।
আবহাওয়ার ১৮ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় এখনো ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
উপকূলীয় এলাকা থেকে আট লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান রবিবার বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যে ৮ থেকে ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। সব আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিস্কুট, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে গেছে।’