রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
ভারত থেকে কিছু মানুষের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখেছেন। তবে তিনি এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। ‘আমি বুঝতে পারছি না এতে উদ্বেগের কি আছে…’
আনুষ্ঠানিকভাবে না জানা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় রবিবার ভোরে বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্ত থেকে ৩২ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটক ব্যক্তিরা তাদের বাড়ি বাগেরহাট, মুন্সিগঞ্জ ও মোড়লগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় বলে দাবি করেছেন। ৪৯ বিজিবির বেনাপোলের দৌলতপুর ক্যাম্পের কমান্ডার মোজাম্মেল হোসেন জানান, ভারত থেকে অবৈধপথে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি আম বাগানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন পুরুষ, ১৩ নারী ও ২ শিশুকে আটক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু থাকে। আমাদেরও ভারতের সঙ্গে ছোটখাটো কিছু ইস্যু রয়েছে। তবে প্রধান সমস্যাগুলো খুব ভালোভাবে সমাধান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ছোটখাটো সমস্যাগুলোও সমাধান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ভারতের এনআরসি বাংলাদেশের ওপর কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না এবং এটি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ভারত আসাম রাজ্যে চূড়ান্ত নাগরিকত্বের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ বাদ পড়ে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এনআরসি তালিকার মাধ্যমে বৈধ নাগরিক শনাক্ত করে রাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আসাম সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তালিকায় মোট ৩১.১ মিলিয়ন মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ১.৯ মিলিয়ন মানুষ বাদ পড়েছে।