গোপালগঞ্জে জাতীয় পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর থানায় পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে পণ্ড করতে ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বাধা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে থাকে। এ ছাড়া মহাসড়কের আশপাশে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করারও চেষ্টা করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনার দিন থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এ মামলার এজাহারের ২৩ জনসহ মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হওয়া এ মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়—সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায়, মঙ্গলবার রাতে জেলা কারাগারের জেলার বাদী হয়ে সদর থানায় আরেকটি মামলা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে সদর থানায় অন্য মামলাটি করেন।