তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। তাই এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী-ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন। আজ সেটি আমাদের হাতে এসেছে।’
‘এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে। তবে স্কুল খোলা সম্ভব হলে পঞ্চম শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
চলতি বছর ১৭ নভেম্বরে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এবার সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা বাতিলে গত ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এ বছর কেন্দ্রীয়ভাবে সমপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি প্রদান করা হবে না, তবে নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। আগামী বছর পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হলে আবারো বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দীঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) পাঠক্রমের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রস্তাব দিতে বলা হয়। তারা সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর বিদ্যালয় খোলা হলে কতটুকু পড়ানো হবে সে বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায়। যেহেতু সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না তাই মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের সাথে একটি ভার্চুয়াল সভা করে পরবর্তী দুইটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে।