বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটি (বিপিএসডব্লিউসি) এবং এর উপকমিটিগুলোর প্রতিষ্ঠাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের লক্ষ্যগুলো অর্জনের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটি এবং এর পাঁচটি নতুন বিষয়ভিত্তিক এসডিজি ওয়ার্কিং গ্রুপের এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সভাকে আমি স্বাগত জানাই।’
বুধবার (৯ আগস্ট) বিপিএসডব্লিউসির প্রথম পূর্ণাঙ্গ সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এসব কথা বলেন।
কমিটির কার্যনির্বাহী সভায় গ্রুপগুলোর সদস্যপদের আনুষ্ঠানিক মনোনয়নও গৃহীত হয়। দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা রাখার উদ্দেশ্যে বিপিএসডব্লিউসি গঠিত হয়। বিষয়ভিত্তিক গ্রুপগুলো বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে পরিবর্তন আনতে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারকে সহায়তা করার জন্য বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও আর্থিক সহায়তা একান্ত অপরিহার্য।’
বাংলাদেশে এসডিজি অর্জনে গতিশীল ও সমন্বিত বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করেন গোয়েন লুইস।
২০২৩ সালের মে মাসে এফবিসিসিআই, বিইএফ ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের মাধ্যমে যাত্রা করা এই কমিটির প্রথম উদ্যোগগুলোর একটি ছিল গ্রুপগুলোর গঠন।
টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডাগুলোকে এগিয়ে নিতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে দেশের বেসরকারি খাতকে সহায়তা প্রদানে জন্য বিবিএসডব্লিউসি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যুব কর্মসংস্থান ও একটি যথাযথ কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মোকাবিলা করা প্রয়োজন এমন গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মতো বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন বক্তারা।
বাংলাদেশি বেসরকারি কোম্পানি ও উন্নয়ন সংস্থার প্রায় ৫০ জন প্রধানের পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি ও বিপিএসডব্লিউসির চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশির কবির বিষয়ভিত্তিক গ্রুপ প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের কার্যালয় থেকে আরও কয়েকজন সভায় অংশগ্রহণ করেন, যারা জাতিসংঘের ২০২২-২৬ জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামোর (ইউএনএসডিসিএফ)পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকার আন্তঃএজেন্সি ফলাফল গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন।
তারা হলেন- ইউএন উইমেন বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি প্রতিনিধি এমা ব্রিগহ্যাম, এফএও বাংলাদেশের কর্মসূচি বিষয়ক সহকারী প্রতিনিধি নুর খন্দকার এবং ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রধান ডা. বিভাবেন্দ্র এস রঘুবানশি।