পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ টেকসই প্রবৃদ্ধি, সংহতি, শান্তি ও ন্যায়বিচারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বাংলাদেশের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন যে শান্তি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের এসডিজি-১৬ বিশ্বব্যাপী সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হবে যাতে সবার জন্য সুবিধা হয়।

শান্তি, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ১৬ উন্নয়ন চিন্তাধারায় নতুন ভিত্তি তৈরি করেছে।

‘বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’

আলম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনামূলক নীতি শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি তুলে ধরে।

প্রতিমন্ত্রী আগামী প্রজন্মসহ সকলের জন্য একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান; কেউ যেন বাদ না যায়।

বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি ডে ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘের গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ জিসিএনবি-এর প্রতিনিধি ফারুক সোবহান, ‘সাসটেইনেবিলিটি ডে ২০২২’  উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মহামারির আগে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য সঠিক পথে রয়েছে এবং এসডিজি বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ‘সমগ্র সমাজ’ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।

এমনকি ২০২০ সালে মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ এসডিজির দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী জাতীয় পর্যালোচনা (ভিএনআর) জমা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু আমরা মহামারির প্রভাব থেকে টেকসই পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রয়েছি, সেজন্য এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের অগ্রগতি পুনরুদ্ধার করতে সু-সমন্বিত রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে আমাদের সকল স্তরে এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি)’-এর একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সংঘাতের কারণে বিদ্যমান খাদ্য ও জ্বালানি সংকট পরিস্থিতি থেকে একটি টেকসই উপায় বের করার জন্য অন্যান্য বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গেও কাজ করছেন।

তিনি বলেন, এসডিজি  সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ‘লক্ষ্যের অংশীদারিত্ব’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এসডিজি লক্ষ্য ১৭ এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের টেকসই প্রবৃদ্ধির গতিপথ ধরে রাখতে আমরা স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই’।