সম্মেলনে অংশ নেয়া ২০০ দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি, অর্থায়ন ও আর্টিকেল-৬ এর বিষয়ে আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্তে আসতে না পারায় এ সময় বাড়ানো হয়েছে।
ফলে মাদ্রিদে স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ডাকা মন্ত্রীদের চূড়ান্ত বৈঠকে নির্ধারিত হবে সম্মেলনের ভাগ্য ।
২৫তম জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি চিলির পরিবেশমন্ত্রী ক্যারোলিনা শ্মিড বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দেশের সাথে এ পরামর্শ সভা শুরু করেন। এ সভায় কোন কোন ইস্যুতে কোথায় কোন দেশের আপত্তি আছে তা তিনি শুনেন।
শনিবার সকাল পর্যন্ত গড়ানো এ সভায় পরামর্শ নেয়ার সময় দেখা যায় যে সম্মেলনের মূল তিন ইস্যু আর্টিকেল-৬, ক্ষতিপূরণ এবং অর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রায় সব দেশেরই কিছু না কিছু আপত্তি রয়েছে।
এসব বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে পাওয়া সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে কোনো দেশ আপত্তি না জানালে শনিবারই মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলনের ফলাফলের ঘোষণা আসতে পারে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম ইস্যু হলো ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে। এ ব্যাপারে মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলনে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তারা জানান, এখানে কেবল ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল ম্যাকানিজমকে কার্যকর করার ঘোষণা থাকবে, তবে উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না। তারা অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেবে, তবে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলো অর্থায়নের ক্ষেত্রে যে পৃথক তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছিল তার অনুমোদন পাবে না।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, এবারের জলবায়ু সম্মেলনের মূল এজেন্ডা তিনটি। এগুলো হলো ক্ষয়ক্ষতি, অর্থায়ন এবং আর্টিকেল-৬।
তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তে আলোচনা চলছে। মন্ত্রিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ বিষয়গুলোতে সমঝোতায় পৌঁছার জন্য। তবে যেসব বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি তা আগামী জলবায়ু সম্মেলনে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
জিয়াউল হক বলেন, ‘শেষ পর্যায়ে এবারের সম্মেলনে বড় অর্জন হতে পারে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে।’
‘আমরা চেয়েছিলাম উন্নত দেশগুলোর দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি। তবে উন্নত দেশগুলো কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বলতে এখনও রাজি হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।