জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, আলু, মটরশুটিসহ অন্যান্য ফসলের দাম বাড়ার পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, করপোরেট কোম্পানি বা বড় ব্যবসায়ীদের পক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করা গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে ডিএনসিআরপি'র সম্মেলনকক্ষে ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিআরপি ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আলুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে তার অধিদপ্তর সবসময় অভিযান পরিচালনা করে আসছে, যাতে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা যায়।
শুধু আলুর দামই কমবে না, কৃষকদের উৎপাদন খরচও বিবেচনায় নিতে হবে।
ডিজি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে সরকার ডিম আমদানি করতে বাধ্য হয়েছে।
ডিএনসিআরপি'র জনবলসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সারাদেশে তাদের ৪০ থেকে ৫০টি টিম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শুধু বিক্রেতাদের নয়, দাম নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের আওয়াজ তোলার পরামর্শ দেন তিনি।
বিতর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আইন প্রয়োগ করে ও জরিমানা বা শাস্তি দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ী, বিক্রেতা, ক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে, ঈদ, পূজা ও অন্যান্য উৎসবের সুযোগ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে দাম বাড়ানো ভালো অভ্যাস নয়।
তিনি সৎ ব্যবসায়ীদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার পরামর্শ দিয়ে অন্যান্য ব্যবসার সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনের পরামর্শ দেন।
প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনাল ও গ্র্যান্ড ফিনালে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল পাবে যথাক্রমে ২ ও ১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী