প্রধান
ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান ভি আর চৌধুরী
ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী তিন দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে রয়েছেন তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান। এ ছাড়া বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
সফরকালে তিনি বিমান বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন।
ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধানের এই সফর দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া শুরু
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বিমান বাহিনী প্রধান
বিসিবির নারী বিভাগের নতুন প্রধান হাবিবুল বাশার
বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলের সাবেক সদস্য হাবিবুল বাশারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচক প্যানেল থেকে সম্প্রতি তার প্রস্থানের পর এই নতুন দায়িত্বটি পেলেন বাশার। তবে তার পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়ার সময় বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, বাশারকে নতুন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রিদম গ্রুপের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) বাশারকে স্বাগত জানান বিসিবি পরিচালক ও নারী বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
নির্বাচক প্যানেল থেকে বাশার বাদ পড়ার পাশাপাশি মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
নির্বাচক প্যানেলে নতুন সদস্য হিসেবে গাজীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ব্যাটার হান্নান সরকার।
আরও পড়ুন: বিপিএল: অনুশীলনে মাথায় চোট পেয়েছেন মুস্তাফিজ
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ প্রধানদের সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় এই বৈঠক করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি চিফ আবদুলাই সেক এবং আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকির বিষয়ে সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে: মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন আইবেলি ইউএনবিকে বলেন, ‘কূটনীতিক হিসেবে আমরা বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সঙ্গে কথা বলি। এর মধ্যে রয়েছে সুশীল সমাজ, বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম পেশাজীবী, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, একাডেমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক অবদানকারী, শিক্ষাবিদ এবং আরও অনেক ধরনের সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি।
তিনি বলেন, 'এই কথোপকথন আমাদের বাংলাদেশকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
ইউএনএইচআর’র প্রধানকে বাংলাদেশের জবাব: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা ‘তথ্য যাচাইকৃত নয়’
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্কের পক্ষ থেকে 'পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও তথ্যের যাচাই ছাড়া' সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা একটি চিঠি এবং একটি প্রেস নোটের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
গত ১০ নভেম্বর তুর্কের কাছে পাঠানো বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, 'আমরা আশা করি, গুজব ও যাচাই না করা তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে মানবাধিকার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ তথ্য ছাড়াই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে নিজেদের পর্যাপ্ত সময় দেবে।’
ইউএনবি'র হাতে আসা ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের চিঠিটি 'পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও তথ্য প্রকাশের অপেক্ষা না করে তাড়াহুড়ো করে' এবং প্রতিফলনের জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য, সঠিক প্রতিবেদনই যোগাযোগের লাইফলাইন: জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা না করে এবং নিরপেক্ষ উৎস থেকে নেওয়া ভয়াবহ ছবি ও ভিডিও ফুটেজসহ দেশের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিবেচনা না করেই একই ইস্যুতে তুর্কের কার্যালয় থেকে তড়িঘড়ি করে একটি প্রেস নোট প্রকাশ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ পক্ষ থেকে বলা হয়, সংবিধানথেকে উদ্ভূত বাধ্যবাধকতার আলোকে সরকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সহ সকল রাজনৈতিক দলকে সমাবেশ, বিক্ষোভ, মিছিল ইত্যাদি আয়োজনের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করছে।
এই চেতনায় সরকার ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাজপথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ডাকা গণসমাবেশের অনুমতি দেয়, যদিও একটি প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল অরাজকতা সৃষ্টি করা এবং ঢাকাকে বাংলাদেশের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা।
টার্কের কাছে বাংলাদেশের জবাবে বলা হয়, গত ২৮-২৯ অক্টোবর সমাবেশ ও হরতাল চলাকালে বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা অরাজনৈতিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, থানা, সিসিটিভি ক্যামেরা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যমকর্মী, নিরীহ বেসামরিক নাগরিক, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও সরকারি সম্পত্তিতে নির্বিচারে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, অন্যান্য ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়।
এতে বলা হয়, পুলিশের এক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, একজন বাস কর্মীকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, পরদিন বিএনপি যখন সারা বাংলাদেশে 'অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসের প্রচারণা' চালায়, তখন আরও কয়েকজন নিহত হয়।
বাংলাদেশের জবাবে বলা হয়, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, বিএনপি দায়িত্বরত গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। টিভি ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয় এবং কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিকের উপর হামলা চালানো হয়, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) বিএনপি কর্মীদের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের
চিঠিতে বাংলাদেশ বলেছে, গণমাধ্যমের ওপর বিএনপির হামলার নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করা উচিত, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো (এলইএ) ন্যূনতম এবং সর্বোত্তম শক্তি প্রয়োগের জন্য ভালভাবে প্রশিক্ষিত কারণ তারা সম্পত্তি বা জীবন ধ্বংস রোধ করতে চায়। পুলিশের একজন সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা সত্ত্বেও যুক্তিসঙ্গত ও সংযত থাকার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশংসার দাবিদার।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার হিসেবে বর্তমান সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ বলেছে, ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পরে প্রতিটি গ্রেপ্তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়, 'নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি এবং আমরা তাদের অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ আইনি আশ্রয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
এর জবাবে বাংলাদেশ আরও উল্লেখ করে যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং আরও কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে- যার সবগুলোই ২০০৭-০৮ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিবৃতিটি কোনো বৈশ্বিক প্রতিবেদন ছিল না: জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়
তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে পরিবারের সদস্যদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনগত বিধান অনুযায়ী তার সাজা স্থগিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশ ত্যাগ না করার’ শর্তে বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ যে শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তা তিনি মেনে নিয়েছিলেন এবং তার মুক্তির মেয়াদ বেশ কয়েকবার বাড়ানো হয়েছে।
জবাবে বাংলাদেশ উল্লেখ করে যে, তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল এভারকেয়ার হাসপাতালে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সম্প্রতি তার চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপি নেতারা। সরকার অনুমতি দিয়েছে।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টার্কের অফিসের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, 'যেহেতু বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় জাতিসংঘের প্রক্রিয়ার সঙ্গে গঠনমূলক ও ধারাবাহিকভাবে সম্পৃক্ত, তাই আমরা আশা করি আমাদের অবিচল অঙ্গীকার সহযোগিতা ও আনুপাতিকতার চেতনায় প্রতিফলিত হবে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।
সরকারি সফরে শনিবার (১৪ অক্টোবর) তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে একজন সফরসঙ্গী ও তার স্ত্রী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী বিক্রান্তের আজ যাত্রা শুরু
এই সফরের অংশ হিসেবে তিনি দুটি সি-১৩০ পরিবহন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ (পিডিএম ও ‘সি চেক’) কার্যক্রমের বর্তমান অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের সরকারি সফর শেষে আগামী ২১ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ
ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহিনী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের যাত্রা শুরু
করপোরেটদের বাজার অস্থিতিশীল করা গ্রহণযোগ্য নয়: ডিএনআরসিপি প্রধান
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, আলু, মটরশুটিসহ অন্যান্য ফসলের দাম বাড়ার পেছনে কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, করপোরেট কোম্পানি বা বড় ব্যবসায়ীদের পক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করা গ্রহণযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে ডিএনসিআরপি'র সম্মেলনকক্ষে ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিআরপি ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আলুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে তার অধিদপ্তর সবসময় অভিযান পরিচালনা করে আসছে, যাতে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা যায়।
শুধু আলুর দামই কমবে না, কৃষকদের উৎপাদন খরচও বিবেচনায় নিতে হবে।
ডিজি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে সরকার ডিম আমদানি করতে বাধ্য হয়েছে।
ডিএনসিআরপি'র জনবলসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, সারাদেশে তাদের ৪০ থেকে ৫০টি টিম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
শুধু বিক্রেতাদের নয়, দাম নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষের আওয়াজ তোলার পরামর্শ দেন তিনি।
বিতর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আইন প্রয়োগ করে ও জরিমানা বা শাস্তি দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ী, বিক্রেতা, ক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে, ঈদ, পূজা ও অন্যান্য উৎসবের সুযোগ নিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে দাম বাড়ানো ভালো অভ্যাস নয়।
তিনি সৎ ব্যবসায়ীদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার পরামর্শ দিয়ে অন্যান্য ব্যবসার সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপনের পরামর্শ দেন।
প্রতিযোগিতার সেমি-ফাইনাল ও গ্র্যান্ড ফিনালে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল পাবে যথাক্রমে ২ ও ১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে আইনের সঙ্গে সচেতনতা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী
সরকারি সফরে ইউএই’র উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান
সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান।
বৃহস্পতিবার আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সফরকালে এয়ার চিফ শারজাহতে অবস্থিত এএএল গ্রুপ, এমআরও ফ্যাসিলিটির হেলিকপ্টার মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও ওভারহল প্ল্যান্ট পরিদর্শন করবেন।
তিনি একটি দলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
এয়ার মার্শালের র্যাংক ব্যাজে সজ্জিত বিমান বাহিনী প্রধান
প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শপথ নেবেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (অর্থনীতি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পরে তিনি ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ জেলা আদালত, ১৯৮৮ সালের ১৮ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগের বিচারক নিযুক্ত হন।
তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান দুই সফরসঙ্গীসহ সরকারি সফরে শনিবার কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান শেখ আবদুল হান্নান কাতার বিমান বাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পাইলট) সালেম হামাদ আকিল আল-নাবিত, কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ এবং কাতার এমিরি বিমান বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল (পাইলট) জসিম বিন মুহাম্মদ আল-মান্নাইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: এয়ার মার্শালের র্যাংক ব্যাজে সজ্জিত বিমান বাহিনী প্রধান
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান দোহায় আল জাইম মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল আত্তিয়া এয়ার একাডেমি পরিদর্শন করবেন।
বিমান বাহিনী প্রধানের এই সফর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও কাতার এমিরি বিমান বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে বিমান বাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ
কানাডার উদ্দেশে বিমান বাহিনী প্রধানের ঢাকা ত্যাগ
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একটি প্রতিনিধি দল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (৩১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টে দুপুর দেড়টায় প্রতিনিধি দল এই সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দল প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। এসময় প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান।
তবে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: সিইসির পদত্যাগ ও ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ ফয়জুল করিমের
বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি (আমার) শপথবাক্য পাঠ করান। তিনি (প্রধান বিচারপতি) আগামী দিনে অবসরে যাবেন, তাই আমি এখানে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি।
অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে সিইসি অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্ট যে রুল জারি করছে তা নিয়ে তার কার্যালয় (ইসি) কথা বলবে।
দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সিইসিকে স্বাগত জানান সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের আগে নয়: সিইসি