শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৩৫ জন। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৩৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩২ এবং নারী ১৩ জন। মোট আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ৭৮১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯৪৫ জন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৮ জনে।
এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৩ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ জন এবং ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ জন
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
এদিকে, রাশিয়ার পর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২৩৭ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪২১ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৩৭৩ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।