তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যদি খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্য মজুত রাখতে পারি তাহলে আমরা দুর্ভিক্ষে পড়ব না। বরং আমরা অনেককেই সাহায্য করতে পারব। সেই ব্যবস্থা এখন থেকে নিতে হবে।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
জেলাগুলো হলো- কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মাটি উর্বর, মানুষ অনেক কর্মঠ, বাংলাদেশ খাদ্যে এখন উদ্বৃত্ত।
‘কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সেদিকে দৃষ্টি দেবেন। সেটাই আমি চাই। যে যা পারেন কিছু চাষ করেন। ধান কাটার পরে নতুন আরেকটা ফসল কি করা যায় আমাদের সেটা করা উচিত,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকার উপরে প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। আমরা এইজন্য করেছি আমাদের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য।’
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ঢাকা বিভাগের ৯টি জেলা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী।
তারও আগে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে সাতজনের মৃত্যু হওয়ায় রবিবার এ সংখ্যা ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৩১২ জন শনাক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫৬ জনে।