দুর্ভিক্ষ
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কোনও শঙ্কা নেই: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি
সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের কোনও শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
বৃহস্পাতিবার সচিবালয়ে সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন আমন কাটা চলছে। তারা আমাকে বলেছে যে তাদের কাছে তথ্য আছে কোনও ক্রমেই বাংলাদেশে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার সামান্যতম সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, ‘ইউএন ও বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন মাল্টিলেটারাল ডোনারা অনুমান করছে যে পৃথিবীতে একটি খাদ্য সংকট হওয়ার সম্ভাবনা আছে অতিসত্ত্বর। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই সরকার কাজ করছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতা করছে। ছয় বছর যাবৎ রোহিঙ্গাদের জন্য যে খাদ্য প্রয়োজন সেটিও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মাধ্যমেই দেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ বাংলাদেশকে তারা কিভাবে দেখছে এবং কিভাবে ভবিষ্যতে এখানে তারা কাজ করবে তা নিয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের আমনটা একটি মূল ফসল। প্রতিকূলতার মধ্যে সেচ দিয়ে কৃষকরা ধান লাগিয়েছে। সবাই বলছে যে স্মরণাতীতকালে সবচেয়ে ভালো ধান হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি বলি, গরীব মানুষ আছে তাদের কষ্টও হচ্ছে। তবে টাকা নিয়ে খাবার কিনতে পারছে না এমন পরিস্থিতি হয়নি।
ডলার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি সার আমদানিতে কোনও সমস্যা তৈরি করা যাবে না। এটার পেমেন্ট স্মুথ করতে হবে। খাদ্য আমদানিতে কিছু প্রভাব পড়ছে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পরিমাণ খাদ্য আমদানি হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রায় ৮০০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু দুই থেকে তিন লাখ টনও আসেনি। এই মুহূর্তে খাদ্যের দাম বাড়ার ট্রেন্ড নাই। খাদ্যের দাম কমেছে বলেই মূদ্রাস্ফীতি এ মাসে কমে এসেছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সংকট হবে না। এখনও ২৭ বিলিয়ন রিজার্ভ তো আছেই। আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ডলার দিতে পারবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘ফুড কর্নার’ ফের খুলেছে ডব্লিউএফপি
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি বাংলাদেশ
২ বছর আগে
বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ২০২৩ সালে একটি দুর্ভিক্ষ বিশ্বকে গ্রাস করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে। যা এড়াতে বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতি ইঞ্চি জমিতে খাদ্য উৎপাদন, সঞ্চয় ও মিতব্যয়ী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করুন, আমাদের সঞ্চয়ের জন্য যেতে হবে এবং মিতব্যয়ী হতে হবে। আমি আশা করি সবাই সেই ধারা বজায় রাখবেন।’
সাভার সেনানিবাসের সিএমপি সেন্টার ও স্কুলে আয়োজিত হেড কোয়ার্টার ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড), ৯ ও ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (মেকানাইজড) পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন। কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে যে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষের সময় হবে।
আরও পড়ুন: নতুন সেতুগুলো আঞ্চলিক সংযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ যেন সেই দুর্ভিক্ষের শিকার না হয়। সেজন্য আমাদের নিজেদের জমিতেই খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। আমাদের সঞ্চয়ের জন্য যেতে হবে এবং কঠোরতা অনুশীলন করতে হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি ইঞ্চি অনাবাদি জমি খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা।
তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে যেটুকু জমি আছে সেখানে খাদ্য উৎপাদন করার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও এর ফলস্বরূপ নিষেধাজ্ঞার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ সেখানে খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশও একই অবস্থানে আছে। সে আঘাত ইতোমধ্যেই এখানে অনুভূত হচ্ছে। আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ৩০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণের জন্য এক কোটি মানুষকে কার্ড দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ৩৫ লাখ অসহায় মানুষের কাছে কম দামে ১৫ টাকা কেজি চাল বিক্রি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা কাজ করতে অক্ষম তাদের পরিবারের আকার বিবেচনা করে আমরা প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৪০ কেজি চাল বিনামূল্যে দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেড ও রেজিমেন্টের সদস্যদের দ্বারা প্রদর্শিত একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
আগামী বছর বিশ্বে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষের প্রবল সম্ভাবনা থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘...যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার সাম্প্রতিক সফরের সময় আমি অনেক বিশ্বনেতা ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেকেই এই বিষয়টি (খাদ্য নিরাপত্তা) নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। তারা মনে করেন যে ২০২৩ সাল একটি খুব ভয়াবহ বছর হবে। এ বছরে খাদ্য সংকট ও দুর্ভিক্ষ হতে পারে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সাপ্তাহিক সভায় দেয়া সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্থ একটি নির্বাহী কমিটি একনেক, যা সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প যাচাই করে এবং অনুমোদন দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সেগুলো (খাদ্য) সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের মাটি খুবই উর্বর এবং (উর্বর ভূমি ব্যবহার করে) আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়িয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়িতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠব: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, গ্যাস এবং অন্য সবকিছু ব্যবহারেই মিতব্যয়িতা বজায় রাখতে হবে। আমি প্রত্যেক পরিবারকে অনুরোধ করব; তারা যেন যতটুকু পারেন, সঞ্চয় করেন। এবং এটি আমাদের সরকারের জন্যও প্রযোজ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার কোনো অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা যা প্রয়োজন তা ব্যবহার করব, এর বেশি না। এর বাইরে কিছু করার সুযোগ আমাদের নেই। কারণ আমি বিশ্বনেতা ও সংস্থা প্রধানদের মধ্যে উদ্বেগ দেখেছি। তাই, আমাদের অবশ্যই সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (জনগণ) আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। যতদিন মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে, ততদিন আমাদের কোনো চিন্তা নেই। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা করার সময়ের মতো জনগণকে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে এবং তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশে যে মন্দার প্রভাব পড়ছে, তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
প্রতিবার মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনা করতে পরিকল্পনা কমিশনকে তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় না করারও অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘কারণ বিশ্বের অনেক দেশ এই বিষয়ে আলোচনা করে না (খুব বেশি)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো ... তাদের নিজেদের দেশে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও এই বিষয়ে কোনও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন নেই। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা উচিত। যা প্রয়োজন আমরা তাই করব।’
যে কোনো প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফান্ড পাওয়া গেলেও কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার দরকার নেই। আমাদের যে কোনো প্রকল্প খুব সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে নিতে হয়, যাতে সেই প্রকল্প থেকে আমরা কিছু রিটার্ন পেতে পারি; যা দেশের উপকারে আসে। আমরা (এখন শুধু) এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেরকম কোনো প্রজেক্ট নিইনি। আমরা এ ব্যাপারে সবসময় সতর্ক ছিলাম। ভবিষ্যতেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি তার প্রশাসনের দায়িত্ব রয়েছে। ‘আমরা এটি মনে করি, আর আমরা এজন্যই কাজ করি।’
কিছু অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলেও চলমান প্রকল্পগুলো যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করলে আমরা সেসব প্রকল্পের সুফল পাবো এবং দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের এই প্রকল্পগুলো বাছাই করতে হবে এবং দ্রুত সেগুলোর বাস্তবায়ন করতে হবে।’
যেসব প্রকল্প কিছুটা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে সেগুলোকে চিহ্নিত করতে সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘২১ বছর দেশের জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিল না। ক্ষমতা ছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সেনানিবাসের ভেতরে। দেশের সংবিধানকে উপেক্ষা করে সামরিক অধ্যাদেশ দ্বারা দেশ পরিচালিত হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রের নামে প্রহসন হয়েছে এবং ভোট কারচুপি তখনস্বাভাবিক একটা নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। ‘আমরা এগুলো দেখেছি। এসব কারণে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সাফল্যের পেছনে একটি কারণ আছে। আর তা হলো বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো বাধা ছাড়াই এতদিন গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতার কারণেই আমরা এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: ‘আসুন আমরা সবাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি’
২ বছর আগে
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য মজুদ আছে। তাই এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
মঙ্গলবার সচিবালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। দাম বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। দাম কমানোর উদ্যোগ হিসেবে চাল আমদানির ওপর শুল্ক মাফ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে বিশ্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই এ দাম বৃদ্ধি। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও, আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা। গম প্রায় পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হলেও সেক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে চাল এবং গম পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে চালসহ পণ্যের দাম আর তেমন বাড়বে না। ২/১ টাকা এদিক সেদিক হতে পারে।
সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চালসহ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পণ্যমূল্য কিছুটা বেশি হলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আসলে কার্পেটের নিচে ধূলা লুকিয়ে রেখে লাভ হবে না। যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাবে সারা পৃথিবীতেই শঙ্কা আছে। অন্যান্য দেশে উৎপাদন অনেক কমেছে, সেটি হলে কিছু করার থাকবে না।
তবে দেশীয় উৎপাদন এখনো যথাযথ রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশে নীরব ‘দুর্ভিক্ষ’ চলছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশে এখন নীরব 'দুর্ভিক্ষ' চলছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি আরও অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রভাবে সরকার বাজারের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
‘সারাদেশে প্রকৃতপক্ষে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মানুষ বলতে পারে না। ওই টিবিসির ন্যায্যমূল্যে ট্রাকের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায় মুখোশ পরে। এরপরে সেখানে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়, সেখানে ধাক্কাধাক্কি করে, মারামারি করে কোনো রকমে এক লিটার তেল অথবা একটু ডাল, চালের জন্যে’, বলেন বিএনপি নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল।
ফখরুল বলেন, যেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না কমালে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সেদিনই পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এর মানে কী? মানে বাজারের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাজার ও ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা চাঁদাবাজি করছেন, ঘুষও নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তারা জনগণকে তাদের চর হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের ভাগ্য গড়ার চেষ্টা করেছে। ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল এবং দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল এবং লাখ লাখ মানুষ কেবল তাদের অযোগ্যতা ও দুর্নীতির কারণে না খেয়ে মারা গিয়েছিল।
আরও বলুন: মূল্যবৃদ্ধির পেছনে দুর্নীতিই একমাত্র কারণ: বিএনপি
ফখরুল জ্বালানি তেল ও গ্যাসের শুল্ক বাড়ানোর জন্য সরকারের নিন্দা করেন। কারণ তিনি মনে করেন এই পদক্ষেপগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সর্বত্র বেড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যকেও বাতিল করে দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমি তাকে (প্রধানমন্ত্রী) জিজ্ঞেস করতে চাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কখন শুরু হয়েছিল? কতদিন ধরে মানুষ তেল, চাল, ডালের দাম কমানোর জন্য চিৎকার করছে?
বিএনপি নেতা বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, এ বছর বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দুই শতাংশ বেড়েছে।
কলকাতায় ট্রামের ভাড়া চার পয়সা বাড়লে কলকাতা শহর বন্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘তারা (আওয়ামীলীগ) ১৪ বছর ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার করছে, কিন্তু আমরা সেভাবে প্রতিহত করতে পারছি না। কিন্তু আমাদের এটা বন্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, সকল অন্যায়-অত্যাচার বন্ধ করতে, দরিদ্র জনগণের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পেতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিকল্প নেই।
বর্তমান সরকার আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিচার বিভাগ, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, রাজনীতিকরণ করেছে, আমলাতন্ত্র পরিচালনা করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতির প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করেছে,’ বলেন তিনি।
বর্তমান ‘স্বৈরাচারী’ শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে মানুষ: জিএম কাদের
২ বছর আগে
খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সবাইকে খাদ্য অপচয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। কেননা বিশ্বের অনেক দেশ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, খাবার নষ্ট করা কমাতে হবে। পৃথিবীর একদিকে খাদ্যের অভাব এবং অন্যদিকে ভারী অপচয়। এক্ষেত্রে কোনও খাদ্য নষ্ট করা উচিত নয়।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক অনুষ্টানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় অপরাধীদের খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি,আর ভালো পরিবেশই উন্নত জীবন।’
প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞানীদের প্রতি অতিরিক্ত খাবারের পুনব্যবহারের বিষয়ে চিন্তা করার এবং এ বিষয়ে গবেষণা চালানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কখনো যেনো খাদ্য সংকটে না পড়ে এবং কেউ দেশকে যাতে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য তিনি সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। তিনি বলেন,সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা খাদ্যের চাহিদা পূরণ করব এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
আরও পড়ুন: উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশে খাদ্য সংকট থাকবে না কারণ সরকার এ বিষয়ে অসংখ্য কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
গবেষণার গুরুত্বকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গবেষণার কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন কারণ এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।’
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সেরা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের আবাদযোগ্য জমি রক্ষার জন্য ভূমি জোনিং ব্যবস্থা চালু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই উন্নয়ন করব কিন্তু আবাদি জমি সংরক্ষণ করে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের আদর্শ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় দেশ যাতে খাদ্য উৎপাদনে পিছিয়ে না থাকে সেজন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য পুষ্টির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এজন্য আমরা প্রোটিন উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছি।
গত ১২ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম এবং কৃষিমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দেশের খাদ্য উৎপাদন সংক্রান্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার: নভেম্বরে প্যারিস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কৃষি নিয়ে একটি বইয়ের মোড়ক এবং বিআইআরআরআই বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ দিয়ে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন।
৩ বছর আগে
আমাদের খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে যদি খাদ্যসংকট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, অনেকক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।
৩ বছর আগে
২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যদ্রব্য কিনবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, সরকার ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যদ্রব্য কিনবে।
৪ বছর আগে
করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী খাদ্য মন্দা, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের জন্য সারা বিশ্বব্যাপী যে খাদ্য মন্দা সৃষ্টি হবে তাতে আগামীতে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
৪ বছর আগে