ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত ২৮ ডিসেম্বর এ অনুমতি দিয়েছে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (হেড অব কোয়ালিটি অপারেশন) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো ওষুধ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। গত বছরের ডিসেম্বর ২৮ তারিখ অধিদপ্তর আমাদেরকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদন করার অনুমোদন দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জানুয়ারির মাঝামাঝিই ভ্যাকসিন পেতে পারি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিআরও বাংলাদেশ নামক একটি প্রতিষ্ঠান ট্রায়ালটি পরিচালনা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এজন্য তারা কাজ শুরু করেছেন এবং তাদের ট্রায়াল শেষ হলে প্রটোকল অনুযায়ী আমরা ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ শুরু করব।’
পরবর্তীতে, ক্লিনিক্যালের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) প্রটোকল জমা দেয়া হবে। বিএমআরসি থেকে ইথিকেল অনুমোদন পাওয়ার পর আবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিবে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন আনার ব্যাপারে আশাবাদী দেশের গ্লোব বায়োটেক
জানুয়ারি মাসে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারবেন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে পাঁচ মাস সময় লাগবে। জানুয়ারিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারলে জুনের দিকে আমরা মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পূর্ণ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে পাঁচ মাস সময় লাগবে। যদি আমরা ট্রায়ালটা এ মাসেই শুরু করতে পারি, তাহলে টিকা জুনের মধ্যে পাব। আর যদি এ মাসে শুরু করা না যায়, তাহলে আরও সময় লাগবে। তবে, আশা করি টিকা পাবেন।’
আরও পড়ুন: দেশে কোভিড ভ্যাকসিন বিতরণে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে
এদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৬৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, ৯৭৮ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুমোদন পেল করোনার দুই ভ্যাকসিন
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৮১ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৪৪টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩৩ লাখ ২ হাজার ৪২৯টি।