বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এক দিনে নতুন করে ২ হাজার ১৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৩ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৮৮৪টি। পরীক্ষা করা হয় আগের নমুনাসহ ১৫ হাজার ৯৭২টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ২৮ লাখ ৪ হাজার ১৭৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩.৭৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.৭৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ এবং নারী ১৩ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বিশ্বজুড়ে চলছে। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে প্রাণহানি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৩ জনে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: যুক্তরাজ্যে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেল ফাইজারের ভ্যাকসিন
এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এর মধ্যদিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৪২১ জনে।
জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৫ ব্যক্তি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৯৪১ জন আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৭০ হাজার ৫০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৯৪ লাখ ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬২১ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৭ জনের।