সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩১টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৭ হাজার ৮৩৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০১৪ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন। নতুন করে আরও ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৮৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৫০ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮. ৯৬ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ এবং নারী ৯ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে ১৪ জন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ২২ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২০৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৭৮০ জন। সুস্থতার হার ৪০.৭৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সোমবার সকাল পর্যন্ত এক কোটি ছাড়িয়েছে। সেই সাথে প্রাণহানি পাঁচ লাখেরও বেশি।
পাশাপাশি ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন বলে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৯ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৩ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭ হাজার ৬৬২ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৩ জন এবং মারা গেছেন প্রায় ৯০৬০ জন মানুষ।
করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৯ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ হাজার ৯৫ জন।
যুক্তরাজ্য মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৪৩ হাজার ৬৪৩ জন। এরপর ইতালিতে ৩৪ হাজার ৭৩৮ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৭৮১ জন এবং স্পেনে মারা গেছেন ২৮ হাজার ৩৪৩ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।