মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৬টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৬৩টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৪২৬টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬০টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮২ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। নতুন করে আরও ৬৪ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪৭ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৯৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮. ৯৮ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৫২ এবং নারী ১২ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৫১ জন এবং বাড়িতে ১৩ জন। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ৩১ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৮৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৬৪০ জন। সুস্থতার হার ৪০.৯৮ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজার ৮৫১ জন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) দেয়া তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় রয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৯৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৮ হাজার ৩১৪ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ৪০ হাজার ২৪৬ জন। করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ হাজার ৪৭৫ জন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ২০ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩১ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে ৪৩ হাজার ৬৮৯ জন মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।