বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কর্মকর্তা মারা যান।
তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘অসুস্থার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন জয়নাল আবেদীন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার অসুস্থতা বেড়ে গেলে পরিবার থেকে অফিসে জানায়, তখন তাকে বিমান কতৃপক্ষ ওইদিন সন্ধায় হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।’
জয়নাল আবেদীন দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কসাইবাজার রেলগেট সংলগ্ন মোল্লারবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন বলেও জানান তিনি।
বেশ কয়েকদিন থেকে জয়নাল আবেদীনের শরীরে জ্বর ছিল জানিয়ে বিমানে উপ-মহাব্যবস্থাপক বলেন, জ্বর না কমায় গত ২ জুন স্বামী-স্ত্রীর পরীক্ষা করানোর পর তাদের দুজনেরই পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তার স্ত্রী হাফিজা সুলতানা বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
জয়নালের ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও শ্বাসকষ্ট ছিল না উল্লেখ করে বিমানের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পর তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালে নেয়া হয়।’