মঙ্গলবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদুল আজহা পরবর্তী মতবিনিময়কালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম কাঙ্ক্ষিত নয়। কোনোভাবেই তা বরদাশত করা হবে না। আইন অনুযায়ী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য পালনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠ পরিদর্শনে কোনো অনিয়ম পেলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন তৈরি করে সামগ্রিক চিত্র তুলে আনতে হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি দৃশ্যমান ছিল। করোনার মধ্যে আপনারা ঝুঁকি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। কন্ট্রোল রুমে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন। এটা আমাকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
‘করোনা এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি, উৎপাদক ও বিপণনকারীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ক্ষতি যেকোনো মূল্যে পুষিয়ে নিতে কাজের গতি বাড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ায় কোনো ঘাটতি নেই,’ যোগ করেন তিনি।
কোরবানির সময় ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। শোকের মাস আগস্টে শক্তি সঞ্চয় করে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সকলকে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।