তিনি বলেন, ‘গতকাল জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দিয়েছেন। জনগণের পাশে থেকে করোনাভাইরাস রোধে আমরা সবাই কাজ করছি।’
রাজধানীর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে ওয়াটার ব্রাউজারে জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ডিএনসিসির নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘আমার মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সবাই সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা এলাকায় যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তারা যেন ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন সে বিষয়ে স্থানীয় প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। এ জন্য প্রতিটি এলাকায় একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন গ্রামে গেছেন। তারা যেন তাদের পরিবারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
‘করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উত্তম পন্থা হলো আলাদাভাবে থাকা। ঘর থেকে বের না হওয়া। একজন আরেকজনের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় আর তার সাথে কেউ মেলামেশা না করে তাহলে ভাইরাসটি আর ছড়াতে পারবে না,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার এখতিয়ারে যে বিশেষ বরাদ্দের সুযোগ রয়েছে সেখান থেকে গতকাল ১২ সিটি করপোরেশন, ৩২৮ পৌরসভা ও ৪৯২ উপজেলা পরিষদের জন্য ৩৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ টাকা ব্যয় করা যাবে।
‘এছাড়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সব জেলা ও উপজেলায় জীবাণুনাশক ও সুরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছি। এ ব্যাপারে ইউনিসেফ ও বিশ্ব ব্যাংক থেকেও কিছু অর্থ পেয়েছি, যা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে কাজে লাগানো হবে,’ বলেন তিনি।