জনগণ
দেশে জনগণের প্রতিনিধিত্বের সরকার খুবই জরুরি: মির্জা ফখরুল
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেশের সমস্যাগুলোকে ধীরে ধীরে সমাধান করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের ওপর আমি জোর দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আমাদের সমস্যাগুলোকে ধীরে ধীরে সমাধান করবে। বৈপ্লবিক কোনো ঘটনা ঘটবে, এটা সম্ভব নয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সেই পরিবর্তনটা অবশ্যই আসবে।’
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার আয়োজনে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এই জায়গায় আরেকটি সমস্যা, যা সম্ভবত নিজেরাই তৈরি করেছি—সহনশীলতার অনেক অভাব আমাদের মধ্যে আছে। এই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সহনশীল হতে হবে ও ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা পারব।’
পড়ুন: ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান ফখরুলের, সংস্কারে ঐকমত্যকে স্বাগত
ফখরুল বলেন, ‘২০২২ সালে আন্দোলনের সময় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম, ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে আমরা জনগণের সামনে এসেছিলাম। যেদিনই কর্মসূচি নিয়ে সামনে আসি, সেই দিন আমাদের ওপর গুলি হয়েছে। অফিসের সামনের সভা করতে দেয়নি পুলিশ, গুলি করেছে এবং মিরপুরের একটি ছেলে শহীদ হয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরাও চাই অতি দ্রুত এই হত্যার বিচার হোক। জরুরি সংস্কারগুলো অতি দ্রুত হোক। তবে একটি জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন—জনগণের প্রতিনিধিত্বসম্পন্ন সরকার খুবই জরুরি। কারণ ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করা আর ম্যান্ডেট ছাড়া কাজ করার মধ্যে অবশ্যই কিছু পার্থক্য আছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে—এমন আশা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আরও বড় একটি প্রশ্ন আছে—তা হলো প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ করতে হবে, যা আওয়ামী লীগ সরকার ভেঙে দিয়েছে। এজন্য আমাদের এত সমস্যা। প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় নির্মাণ করতে হবে। কাজটা সহজ নয়, সময় লাগবে, ধৈর্য ধরতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসকের অধীনে থেকে গোটা জাতি নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছে। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, প্রতিবাদ করেছি। অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হত্যার শিকার হয়েছেন। বিচারের নামে অনেক রাজনৈতিক নেতা, আলেম-ওলামা হত্যা করা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে অতিদ্রুত জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের শুরুটা অনেক আগেই। ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, মানুষের অধিকারগুলো বিলীন করে দেওয়া এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য তারা কাজ করেছে।’
পড়ুন: জনগণের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্র সংস্কারের আহ্বান ফখরুলের
এসময় জুলাই-আগস্টে শহীদ, আহত ও অঙ্গহানির শিকারদের প্রতি দল ও নিজের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় সময় পার করেছি। এটি সত্য যে, সেই সময়টি আমাদের জন্য ছিল ভয়ংকর। আমাদের দলের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছিল। এখনও সব মামলা উঠানো হয়নি, কিছু বাকি রয়েছে। ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মী জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা অনেক কথা বলি, আসলে একটি বছর খুব বড় সময় নয়। এই সময়ে তারা অনেকগুলো কাজ করেছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই। তারা যে বড় কাজটি এগিয়ে নিয়েছেন, তা হলো সংস্কারের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে খালেদা জিয়া বলেছিলেন রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। এই কাঠামোয় মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, তা পূরণ করা যাবে না। সেজন্য ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেখানে ছিল বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওই ৩১ দফার মধ্যে এই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে কিছু মতবিরোধ থাকবেই। রাজনৈতিক দলগুলো সব একমত হবে না। এই বিষয়টিকে বড় করে দেখিয়ে জাতির মধ্যে অযথা বিভক্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে। পত্রিকার বরাতে ১২টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা উল্লেখ করে মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল। বাকি বিষয়গুলোতে নিশ্চয়ই দায়িত্ব থাকবে—যারা সরকারে যাবেন, তারা বাকি কাজগুলো সমাধান করবেন।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘তরুণরা ভবিষ্যতে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করবেন, যেখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষ তার অধিকার নিয়ে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়তে পারবে। আমাদের শিশুদের আর এভাবে প্রাণ দিতে হবে না।’
১২৮ দিন আগে
জনগণকে নির্বাচনমুখী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভোটের সময় কেউ যাতে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেই বিষয়ে সচেতন করে জনগণকে নির্বাচনমুখী করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘জনগণকে নির্বাচনমুখী করতে হবে। কেউ যেন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে সেই বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। শৃঙ্খলা আনতে হবে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ ভোটের আয়োজন করতে হবে।’
সোমবার (২৬ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ঐকমত্য কমিশনের এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ড. ইউনূস।
সভায় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুনের প্রথম সপ্তাহে সংস্কার কাজ নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা শুরু করবে ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই আলোচনার উদ্বোধন করবেন।
গত ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দফায় আলোচনা শেষ হয়।
বৈঠকে সংস্কার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও তৃণমূলের সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে জনসচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দুই দফায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
তিনি বলেন, 'এত বড় অভ্যুত্থানের পর যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছিলাম, এটা যেন তেমন বাংলাদেশই রয়ে না যায়।'
সভায় অতীতের বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ভূমিকা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, এ বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই ঐকমত্য প্রকাশ করেছে।
কমিশন সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া অবিলম্বে জনপ্রশাসন সংস্কার বাস্তবায়ন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে এনাম কমিশন বিভিন্ন সরকারি সংস্থার যে অরগানোগ্রাম তৈরি করেছিল সেটাই তাদের এখনো রয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে এবং নতুন অনেক সংস্থা গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন গঠন করা হলে এই অরগানোগ্রামগুলো পুনঃগঠন করা যাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, এনবিআর সংস্কারে জনপ্রশাসন কমিশনের সুপারিশ ছাড়া আরও দুটি কমিশন কাজ করেছে যার ফলে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি এমদাদুল হক রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি নিয়োগে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা যেন স্বচ্ছভাবে কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান।
দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রতিনিধি ইফতেখারুজ্জামান প্রাথমিকভাবে গঠিত ছয়টি কমিশনের বাইরে গণমাধ্যম, শ্রম, স্থানীয় সরকার, নারী ও স্বাস্থ্য বিষয়ক যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে সেগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রণীত খসড়া প্রস্তাবটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশ করার আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি সফর রাজ হোসেন।
১৯২ দিন আগে
নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার আহ্বান
বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে সকলকে তার জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শফিকুল আলম এই আহ্বান জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আলম বলেন, তারা প্রত্যক্ষ করেছেন যে, আওয়ামী লীগ ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী ও নির্মম শাসনামলে কী করেছে, কীভাবে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক অঙ্গনকে মারাত্মকভাবে সংকুচিত করেছে এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করেছে।
প্রেস সচিব বলেন, ‘এই দলটির সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ফলে সৃষ্ট ক্ষত এখনও তাজা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি যে, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই দলের কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে আলম বলেন তারা স্মরণ করিয়ে করুক কীভাবে আওয়ামী লীগ বারবার চরম প্রহসনমূলক নির্বাচন করেছে এবং আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি করেছে।
পড়ুন: আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় দিল্লির উদ্বেগ প্রকাশ, দ্রুত নির্বাচনের প্রত্যাশা
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) নয়া দিল্লিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের উপর অন্তর্বর্তী সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।’
জয়সওয়াল বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিকভাবেই ‘গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণ ও সংকোচন হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দ্রুত আয়োজনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলের নেতা-কর্মীদের বিচার চলমান অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সমস্ত কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার।
২০৫ দিন আগে
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: কায়কোবাদ
স্বৈরাচার সরকারকে যেভাবে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে হটিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে প্রধান উপদেষ্টাকেও কারাগারের স্বাদ গ্ৰহণ করতে হত।’
শনিবার (৩ মে) বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসমাবেশে বিএনপির তিনি এসব কথা বলেন।
কায়কোবাদ বলেন, ‘আপনাদের সংস্কারের প্রয়োজন নেই। সংস্কার প্রস্তাব রেখে নির্বাচন দিন। সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ করবে গণতান্ত্রিক সরকার।’
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া।
আরও পড়ুন: হেফাজতের ১২ দফা সনদ ঘোষণা, ২৩ মে সারা দেশে বিক্ষোভ
এসময় বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব তারেক মুন্সী, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিক আহমেদ মীর, সাবেক মেজর মো. শাজাহান।
আরও বক্তব্য দেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা উত্তর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তার, মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সোহেল সামাদ, মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দয়ানন্দ ঠাকুর প্রমুখ।
২১৫ দিন আগে
জনগণের প্রতি যাদের আস্থা নাই তারাই ভোটে ভয় পায়: আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘এদেশে যত সংস্কার হয়েছে, তা বিএনপি করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। জনগণের প্রতি বিএনপির আস্থা আছে বলেই তারা বারবার সংস্কার করতে পেরেছে। যাদের আস্থা নাই তারাই ভোটে ভয় পায়।’
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর শহরের একটি কনফারেন্স হলে জেলা বিএনপির পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত ১৭ বছর বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। এখন অনেকেই বলছে, শুধু ভোটের জন্যই কি (দেশের রাজনৈতিক পট) পরিবর্তন হয়েছে? আমি জানতে চাই, ভোটের জন্য না হলে কিসের জন্য পরিবর্তন হয়েছে? তাই কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন।’
তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। ফ্যাসিবাদ সীমান্তের ওপারেই অপেক্ষা করছে। আমরা ফ্যাসিবাদের মাথা অপসারণ করেছি, কিন্ত তাদের দোসররা এখনও রয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি: আব্দুস সালাম
‘শেখ হাসিনা নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেশটিকে হাইজ্যাক করে ফেলেছিল। ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের প্রত্যাশা জেগেছ, তারা আবার স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। সেজন্যই বিএনপি নির্বাচনের জন্য বারবার বলে যাচ্ছে।’
সভায় নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, সাইফুল ইসলাম আফতাব, দাউদার মাহমুদসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন।
২২৮ দিন আগে
বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বরং বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি, তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন।’
সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হয়েছে।
গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি, সেই প্রত্যাশা নিয়েই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
যদি ঐকমত্য কমিশনের কোনো সনদ না-ও হয়, বিএনপির জন্য সংস্কারের সনদ রয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়, তা আমরা জানি।’
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান অংশ নেন।
আজ দিনব্যাপী এই আলোচনা চলতে পারে বলে ঐক্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আজ আলোচনা শেষ না হলে প্রয়োজনে আগামী সপ্তাহে আবারও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
২৩২ দিন আগে
জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক ইফতার মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সম্মানে বিএনপি মিডিয়া সেল এই ইফতারের আয়োজন করে।
ভার্চুয়ালি ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে তারেক বলেন, ‘কোথাও কেউ হয়তো উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে.. আমরা বুঝতে পারছি— এর পিছনে একটি ষড়যন্ত্র আছে।’
আরও পড়ুন: ‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
তিনি বলেন, ‘একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা দেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক একসঙ্গে যদি কাজ করি, অবশ্যই এই ষড়যন্ত্রকে আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। আমাদের সর্বপ্রথম ও একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।’
এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) আপনাদের নিজের অবস্থান থেকে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরেন তাহলে— আমরা অবশ্যই এই চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হবো।’
২৫৫ দিন আগে
জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ: তারেক
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জয়লাভ করবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রয়োজন সর্বত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। একইসঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা—যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সুখ ও দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নেতা-কর্মীদের দায়িত্বশীল ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংসসহ খাদের কিনারায় ফেলে গেছে। এখন সবাই মিলে দেশকে টেনে তুলতে হবে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসাসহ সকল উন্নয়নের জন্য হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না, একইসঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল।‘
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির কয়েক লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা হয়েছে। বিএনপির হাজারও নেতাকর্মীকে খুন ও গুম করা হয়েছে। ২৪’র জুলাই-আগষ্টে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। এদের রক্তকে মূল্য দিতে হবে।
২৮৩ দিন আগে
জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার সফল হবে না: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা মনে করেন নির্বাচনের আগে সংস্কার হওয়া উচিত, তাদের বুঝতে হবে যে, এই সংস্কারগুলো সফল হতে জনগণের সঙ্গে সত্যিকার অর্থে সংযুক্ত লোকদের প্রয়োজন। তাদের ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব হবে না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন তিনি।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন পেছানো হলে তা দেশ ও সরকার উভয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো আরও গভীর হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ফটো সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে 'আমরা বিএনপি পরিবার' এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
তারেক বলেন, রাজনীতিবিদরাই দুই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাবগুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন, অন্য কেউ নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশে যদি সত্যিকারের সংস্কার করতে হয়, তাহলে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, কার্যকরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনীতিবিদদের অবশ্যই পেশাদার, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের কাছ থেকে পরামর্শ ও মতামত চাইতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই পরামর্শগুলোর ওপর ভিত্তি করেই আমরা ধীরে ধীরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সংস্কারই কোনোভাবেই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে না।’
তারেক আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে যাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা আছে, তারাই তাদের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারে ও জনগণের ইচ্ছার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় তাদের মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করেই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য রাজনৈতিক স্বাধীনতা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে ভোটাধিকার ও ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।‘
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া রাতারাতি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তাদের দলসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক ও সমমনোভাবাপন্ন দলগুলো আড়াই বছর আগে দেশকে ঢেলে সাজানোর জন্য ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছিল।
বিএনপি নেতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তারা দেশ পুনর্গঠন এবং এর ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সঠিক দিকনির্দেশনা ও কৌশলের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। ‘এজন্য আমরা ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাবে তারা রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনার রূপরেখাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
তারেক রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে প্রায় ৮০ জন ফটোসাংবাদিক আহত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকদের সাধ্যমতো পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
২৯০ দিন আগে
দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।
তিনি বলেন, দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচন দিলে তা আর হবে না। আমরা লড়াই করতে চাই লড়াই করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার তিস্তা বাঁচাও অবস্থান কর্মসূচির জনতার সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমান গণতান্তিক সরকারের জন্য মানুষকে সংগঠিত করে যাচ্ছেন। আমরা নির্বাচন দিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাই—যারা আমাদের কথা সংসদে বলবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি নিরপেক্ষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ থাকলে হবে না, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আমাদের পায়ের উপর দাঁড়াতে চাই। আমাদের ন্যায্য হিসাব আমরা বুঝে নিতে চাই। বন্ধুত্ব থাকবে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার ক্ষেত্রে কোনো বন্ধুত্ব নেই। এ আন্দোলন মানুষের বেঁচে থাকার আন্দোলন। লড়াই ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না আমরা লড়াই করে তিস্তা ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করতে চাই।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ -স্লোগানে অবস্থান কর্মসূচি পালনে নদী পাড়ে দলে দলে দেশের ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে এক যোগে টানা ৪৮ ঘণ্টার ওই অবস্থান কর্মসূচিতে ৫ জেলার কয়েক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছেন।
সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা রেলসেতু ও তিস্তা সড়ক সেতুর মধ্যস্থানে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে নারী পুরুষ দলে দলে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। ১১টি পয়েন্টের তাবু গেড়ে ভেতরে মানুষ বিছানা পেতে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল বিশাল প্যান্ডেল ও শতাধিক তাবু টানানো হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় তিস্তা নদী পাড়।
অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। শেষদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি এসব মঞ্চে দিনভর থাকবে তিস্তা পাড়ের মানুষের সুখ দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভাওয়াইয়া গানের আসর, ঘুড়ি উৎসবসহ নানান গ্রামীণ খেলাধুলা। এভাবে টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর তীরেই অবস্থান করবেন রংপুরের ৫টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
সমাবেশের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, গণসংহতির সভাপতি জুনায়েদ সাকি।
২৯০ দিন আগে