জনগণ
অতি আত্মবিশ্বাস পরিহার করে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান তারেকের
জনগণের অপছন্দনীয় কাজ পরিহার করে নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে অতি আত্মবিশ্বাসী না হয়ে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে মনোনিবেশ করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আলোচনা সভায় গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পক্ষেও কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, 'আমি আমার দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের বলব, আপনারা জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করুন, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে আপনাদের সঙ্গে রাখুন।’
তারেক বলেন,অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, ‘জয়ের আস্থা থাকা প্রত্যেক নেতাকর্মীর জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী না হতে, নিজেকে জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন না করতে বা মানুষ পছন্দ করে না এমন ক্রিয়ায় জড়িত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। কারণ, যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণই আপনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু এবং তারাই বিএনপির সকল শক্তির উৎস।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মাফিয়া সরকারের প্রধান রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে এবং দেশকে আমদানি ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ‘কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে ১৫ বছরের দুঃশাসনের পরিণতি এখনও জনগণ বহন করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন,৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
তিনি বলেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসী কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে।
তারেক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ সরকারে পরিণত করার অব্যাহত প্রচেষ্টাসহ ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, '৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি আজ আবারও বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক শক্তিকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ মাত্র একদিনে শেষ হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, একটি সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা মূল্যায়নের জন্য তিন মাস যথেষ্ট নাও হতে পারে।
তবে তিনি উল্লেখ করেন, যারা প্রতিদিন বাজারে যান এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খান, তাদের কাছে তিন মাস তিন বছরের মতো মনে হতে পারে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তাই কৃষক, দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষ ও নিম্ন মধ্যবিত্তের কষ্ট লাঘবে কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।’
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি দ্রব্যমূল্যকে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার সব সংস্কার প্রচেষ্টা জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের 'সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের’ স্মরণে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৯৭৫ সালের এই দিনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সৈনিক ও বেসামরিক জনগণ যৌথভাবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে, যার ফলে তার ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হয়।
সরকারের সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে তারেক রহমান বলেন, তার দল সংস্কার সমর্থন করে কিন্তু তারা বিশ্বাস করে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নথিভিত্তিক রাষ্ট্র সংস্কারের চেয়ে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক কর্মীও সমর্থকদের সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‘কারণ, দিন শেষে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে রাজনীতিবিদরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতও গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি আমরা চাই নারাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্যাসিবাদের সমর্থক হয়ে উঠুক। আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। আর তা না হলে দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন বা বিধি-বিধানের সংস্কার টেকসই হবে না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণের আদালত এবং রাষ্ট্রীয় আদালত বা বিচার বিভাগ যদি শক্তিশালী ও কার্যকর থাকে, তাহলে ফ্যাসিবাদ কখনোই মানুষের স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘গণআদালত গণবিচার নয়, এর অর্থ হলো কোনো ব্যক্তিকে ক্ষমতায়িত বা ক্ষমতাহীন করার চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে।’
তারেক বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, বিচার বিভাগ ও জনগণের আদালতকে কার্যকর ও শক্তিশালী করার মাধ্যমেই কেবল রাজনীতি ও রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য গুণগত সংস্কার নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হলে রাষ্ট্রকে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ বা প্রচারের মতো অজনপ্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে না। কারণ জনগণ নিজেরাই খুনি, লুটেরা, অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মাফিয়াদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রত্যাখ্যান করবে।’
তারেক বলেন, যেকোনো ফৌজদারি অপরাধের বিচার রাষ্ট্রীয় আদালতে বা বিচার বিভাগে হওয়া উচিত। ‘কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক মাঠে বা জনগণের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা দলের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের সংস্কৃতি চালু হলে তা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদী শক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে আমাদের এখন সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি গণতন্ত্র ও জনপ্রতিনিধিদের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' পালন করবে বিএনপি
ছলচাতুরী বাদ দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: সরকারকে বিএনপি
১ সপ্তাহ আগে
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি এমন রাষ্ট্রীয় সংস্কার চায়, যা দেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
লন্ডন থেকে এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জাতি এখনও এক সংকটময় সময় পার করছে, কারণ ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারের অশুভ প্রেতাত্মারা এখনও দেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তারেক বলেন, 'আমরা অনেকেই এখন সংস্কারের কথা শুনি, অনেকে বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন এবং এই দেশকে বদলে দিতে বিএনপিই প্রথম সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৭ সালে বিএনপির ভিশন-২০৩০ সনদ ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
তারেক রহমান বলেন, পরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেওয়া গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা রূপরেখা দিয়ে বিএনপি ২০২৩ সালেও সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘এসব সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য কী? এটা কি শুধুই সংবিধানের কয়েক লাইন পরিবর্তনের জন্য? অবশ্যই, দেশ পরিচালনায় পরিবর্তিত সময় এবং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনে করি, দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সংস্কার হওয়া উচিত।’
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিএনপির এই নেতা মনে করেন, সংবিধানের শুধু কয়েকটি লাইন পরিবর্তন করাই সংস্কার নয়।
বিএনপির প্রয়াত মন্ত্রী ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যশোর টাউন হল মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাবে সুস্পষ্টভাবে দেশের গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমের রূপরেখা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি এক বাক্যে সংস্কারের কথা বলছি, যা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে, বেকারদের কর্মসংস্থান আনবে, নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত করবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, আমাদের সন্তানদের উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করবে এবং জনগণকে ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।’
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও দেশ এখনো সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও তার প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে সমাজে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায়। সেখান থেকে এখনো নানা ষড়যন্ত্রের বীজ বপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি এটাকে ক্রান্তিলিক সময় বলছি।’
বিশেষ করে জাতির এই দুঃসময়ে তরিকুল ইসলামের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অনুপস্থিতির অনুভূতিও ব্যক্ত করেন তারেক।
তারেক বলেন, ‘তরিকুল ইসলামের মতো এখন যদি কেউ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি আমাকে মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতে পারতেন, যা দেশ ও দল উভয়ের কল্যাণে অবদান রাখত।’
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
১ সপ্তাহ আগে
জুলাই অভ্যুত্থান হলো জনগণের শেষ রক্ত দেওয়া: ভিপি নূর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান হলো জনগণের শেষ রক্ত দেওয়া।
তিনি বলেন, এদেশের জনগণ আর কোনো রক্ত দেবে না। এবার জনগণ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে দাউদকান্দি বিশ্বরোড ঈদগাহ মাঠে উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সভায় ভিপি নূর এ কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদ দাউদকান্দি উপজেলা এই পথসভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
তিনি বলেন, ‘আমরা এক ফ্যাসিবাদ হটিয়ে আরেক ফ্যাসিবাদ দেশে আনতে চাই না। স্বৈরাচারী দলকে হটিয়ে আবার কোনো স্বৈরাচারী দলকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। এছাড়া ফ্যাসিবাদের জননী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো সহজ কাজ ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, গত দেড় দশকে রাজনৈতিক আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, কারাগারে গিয়েছেন। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ফ্যাসিবাদি হাসিনাকে হটাতে গিয়ে আহত হয়েছে এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
তিনি বলেন, গণ অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছে, তারপরও তাদের সঙ্গে কোনো আপস করেনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, কিন্তু তাদের যে সমস্ত কর্মকাণ্ড চলত, এখন কিছু ব্যক্তি সংগঠন ওই সব কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। যারা নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন তাদের বলব, এটা কোনো রাজনৈতিক সরকার না, কাজেই কোনো রাজনৈতিক দলের মাতব্বরি-বাহাদুরি করার কোনো সুযোগ নেই। যারা মাতব্বরি করবে, ফ্যাসিবাদির বিরুদ্ধে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তেমনিভাবে এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে নব্য ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে চাইলে তাদেরও রুখে দিতে হবে।
তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে গোলাম হয়ে কাজ করবেন না। যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পিরিতি করে প্রশাসন চালান, তাদের জায়গা প্রশাসনে হবে না। আপনারা অন্তর্বতীকালীন সরকারের অধীনে আছেন, এখন কোনো রাজনৈতিক সরকার না, কাজেই এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জনকল্যাণমূলক কাজ করবেন।
বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
২ সপ্তাহ আগে
জনগণকে সারা দেশের উপজেলা কার্যালয় থেকে সেবা নেওয়ার পরামর্শ ইসির
ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয় থেকে গ্রহণ করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই পরমর্শ দেয় ইসি।
আরও পড়ুন: যোগ্য ইসির অধীনে জাতীয় ঐক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান গণফোরামের
নির্বাচন কমিশণ নতুন করে ভোটার নিবন্ধন, ভোটারদের ঠিকানা পরিবর্তন, এনআইডি সংশোধন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহসহ এনআইডি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবার বিষয়ে যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা বা থানা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছে।
প্রয়োজনে সেবাপ্রার্থীরা ইসির হটলাইন নম্বর-১০৫ নম্বরে বিনা খরচে কল করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
২ সপ্তাহ আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান আইজিপির
দেশের মানুষের সেবায় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. ময়নুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ কল্যাণমূলক সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি পেশাদারিত্ব ও জনসেবা প্রত্যাশা পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইজিপি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। 'নতুন সমাজ গঠন ও বাংলাদেশ পুলিশকে বিকশিত করার সুযোগ আমাদের রয়েছে।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, কর্মকর্তাদের অবশ্যই অন্যায় কাজে জড়িত হওয়া উচিত নয় বা অন্যকে তা করতে দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী দলগতভাবে কাজ করে এবং কার্যকর পুলিশ সার্ভিস গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
আইজিপি বাহিনীর অভ্যন্তরে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখে সহকর্মীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
সভা শেষে আইজিপি পঞ্চগড় সদর সার্কেলের নবনির্মিত অফিস ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ সময় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামসহ পঞ্চগড় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধ করে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ নেই: আইজিপি
৩ সপ্তাহ আগে
জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে না: বিএনপি
বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, কিন্তু মূল সমস্যা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনি যা কিছু করেন তার জন্য আমরা আলহামদুলিল্লাহ বলব, তবে এর একটি সময়সীমা থাকা উচিত এবং ধৈর্যের একটি সময়সীমা থাকা উচিত। নির্বাচনের দ্রুত রূপরেখা তৈরি করুন, তারপর বাকিটা করুন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধই যথেষ্ট নয়, অস্ত্রধারীদের বিচার হতে হবে: বিএনপি
সরকার যদি সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করে তাহলে কোনো কিছুই সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘নতুন সংস্কারের প্রয়োজন নেই, কারণ জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস সময় লাগা উচিত নয়।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার রূপরেখা উপস্থাপন করেছে, যা সরকার পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের দিয়েই সমাধান করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শুরু হওয়া বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত এখনো চলছে। 'রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করতে হবে'
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন শুধু ছাত্ররাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল করছেন, আপনারা হোঁচট খাবেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বহু বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র চলছে, শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং সম্মিলিত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার খুব খারাপ লাগছে। এটা আমাদের জন্য অসহনীয়। আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে চ্যানেল আইয়ের 'আজকের পত্রিকা' অনুষ্ঠানে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ বলেন, বন্যার প্রভাব কমে আসছে এবং শীত আসছে। 'আমরা আশা করছি পরিস্থিতির অনেকাংশে উন্নতি হবে। কিছু কিছু এলাকায় এরই মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে এটি পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত একটি সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেট অত্যন্ত শক্তিশালী স্বীকার করে তিনি বলেন, এটা এত সহজ নয়।
আসিফ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সমস্যা সমাধানে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এ পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছে।
তিনি বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যা সরকারে থাকা সকলকে মানসিক যন্ত্রণা দেয়।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে আগামী নির্বাচন সম্ভব হতে পারে: আসিফ নজরুল
৪ সপ্তাহ আগে
জনগণের স্বার্থ রক্ষার তাগিদ তথ্য উপদেষ্টার
অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষার তাগিদ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান সব দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার কারণে কোম্পানি অনেক পিছিয়ে গেছে। আমরা সেই সময়ের সব বিষয় পর্যালোচনা করছি, তার ভিত্তিতে কাজ করা হবে।
বুধবার (২ অক্টবর) ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় উপদেষ্টা একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্তভাবে রপ্তানিতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে: উপদেষ্টা
এসময় নাহিদ ইসলাম প্রথম স্যাটেলাইটের খরচ অনুযায়ী প্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, স্যাটেলাইটের খরচ বেশি হয়েছে তাই প্রাপ্তি আশানুরূপ নয়।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, কোম্পানিটি গত ৫ বছর রিটার্ন জমা দেয়নি। যা এখন পরিশোধ করতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে হবে। ইতোমধ্যে বোর্ড মেম্বারদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি বিগত সময়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কাজ হয়েছে কি না- তা খুঁজে বের করে সুপারিশ করবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা, দুর্বলতা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উপদেষ্টাকে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বেতবুনিয়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাওয়া ও যাতায়াত ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির মনিটরিং সেন্টার, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট, টেলি মেডিসিন ও ই-লার্নিং সিস্টেমের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তথ্য উপদেষ্টা।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনলাইনে উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র, গাজীপুর ও বেতবুনিয়ার কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টাদের সংলাপ শুরু শনিবার
সুসম্পর্ক স্থাপনে সম্মত ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জনগণের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য দোষী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা সদস্যদের অসদাচরণের কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই সমর্থন করে না।
উল্লেখ্য, দোষী সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দোষী সাব্যস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিএফআইয়ের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমান: আইএসপিআর
৩ মাস আগে
জনগণের গোপনীয়তা লঙ্ঘনকে সমর্থন করে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: সমন্বয়ক রিফাত রশিদ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেছেন, মানুষের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এমন কোনো কিছুই তারা সমর্থন করেন না।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গণঅবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিভিন্ন স্থানে মানুষের মোবাইল ফোন চেক করে হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড বৈষম্যের পুরনো দৃষ্টান্তগুলোর পুনরাবৃত্তি করছে। তাই ফোন চেকসহ একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত জীবনের স্বাভাবিক ধারা বিনষ্ট হয় এমন কিছু করবেন না।’
আরও পড়ুন: নতুন উপদেষ্টা পাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, শুক্রবার শপথ
‘মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করা একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সাধারণ জনজীবন যাতে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয় তা নিশ্চিত করতে এবং সারাদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে রাজপথে সবাইকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন প্রতিশ্রুতবদ্ধ থাকবে ততদিন সমর্থন করবে বিএনপি
৩ মাস আগে