জনগণ
২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এছাড়া মেট্রোরেল ও পাতাল রেলের কাজও চলছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জনগণ দেশের উন্নয়নের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা হাই স্কুল কাম মাদরাসা মাঠে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ। তাই বাংলাদেশের মানুষ এখন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন চায়।
সম্মেলনে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই: আমানউল্লাহ আমান
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, এই সরকার ভোট চোর সরকার। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সরকার তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নি।
তিনি বলেন, এবার এমনটা হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনেই এবার নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করল স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিএনপির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে করা পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এখন মানুষ ভোট দিতে পারে না। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নেই।
আমান বলেন, শেখ হাসিনার ভোটারবিহীন নির্বাচনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। আমাদের অনেক সহযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোট সেন্টারে কুকুর ঘুমিয়েছিল। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার, অবৈধ সরকার। তাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কর্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান এবং সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলেন সৌরভ গাঙ্গুলী
আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এখন যে শান্তি সমাবেশ, এটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টার অংশ। কারণ চিহ্নিত একটি অপশক্তি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টি এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো অপচেষ্টা অবশ্যই প্রতিহত করবে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫তম বছরপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের শান্তিশৃঙ্খলা যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয়, আমরা যেন শান্তি বজায় রেখে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে পারি; দেশকে সোনার বাংলা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি, সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি কিছু নেই। আমরা মাঠে আছি এবং থাকব। আমরা সরকারে যেমন আছি, জনগণের সঙ্গে মাঠেও তেমনি আছি। শান্তি, শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় চিরদিন ছিলাম, আজও আছি এবং আগামীতেও থাকব।’
দীপু মনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে যত অধিকার আছে, সে সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করায় নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা যে ভাষা পেয়েছি, তার অধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন পেয়েছি; এ সবকিছুসহ দেশগড়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, সাবেক সচিব ও শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজবিজ্ঞানি ড. সমীর কুমার সাহা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিতবরণ দাশ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
দরিদ্র দেশে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে
দরিদ্র দেশগুলোর জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার ওপর ৫ম আন্তর্জাতিক মিনিস্ট্রিয়াল সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই মি. এলিয়ান বারসেত এই সম্মেললের উদ্বোধন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সভাপতিত্ব করেন।
শুক্রবার সকালে সম্মেলনের শেষ দিবসের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো নানারকম খাদ্য সমস্যায় ভোগার পাশাপাশি খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পায় না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিৎ অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরও বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা। দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোর হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মেলনে আগত ৮০টি দেশের মন্ত্রীসহ বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এইচ. ই. এলিয়ান বারসেটের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছিল ১০ লাখের মত। এখন সেই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে সেখানে। এত বড় শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া দুরূহ কাজ। এই শরণার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। যা সামলাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাঁদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।’
বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহিপূর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, তথ্যের আদান-প্রদান করার ওপর জোর দেন।
সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক একশন প্লান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সম্মেলনে জাপান, সৌদি আরব, ইতালি, সিংগাপুর, মালেয়েশিয়া, হাঙ্গেরী, শ্রীলঙ্কা, ইরাক, কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, লিবিয়া, নামিবিয়া, পর্তুগাল, আরব আমিরাতসহ ৮০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাসীন দলের সেবা করছে, জনগণের নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের জনসেবকরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাজ্য ও ক্ষমতাসীন দল এখন এক সত্তায় পরিণত হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার কথা, কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন দলের হয়ে কাজ করছেন।
রবিবার জাতীয় পার্টির কাকরাইল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা সরকারের কোনো অন্যায় আদেশ মানতে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: সরকারের সমালোচনা কখনও রাষ্ট্রদ্রোহী হতে পারে না: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনের মনে রাখা উচিত যে তারা জনসেবক ও তাদের উচিত প্রতিটি মানুষ এবং প্রতিটি দলের মানুষের সঙ্গে সমান আচরণ করা।
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত তারা এখন সমাজে সম্মানিত এবং সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তিরা অযোগ্য ও মূর্খ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন তাদের সম্পদ ও জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে জিএম কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না এবং তারা এই মেশিন ব্যবহার করে ভোট দিতে চায় না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ মনে করে ইভিএম হচ্ছে ভোট কারচুপির আধুনিক মেশিন।
এছাড়া দেশের মানুষ মনে করে সরকার ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন করতে চায় ফলাফল কারচুপির জন্য।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলাপের কথা স্মরণ করে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ও কয়েকটি দল ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেছে।
তবে নির্বাচন কমিশন এখনও ইভিএম ব্যবহার করে ভোট নেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এমনকি নির্বাচন কমিশন অকার্যকর ও অকেজো ইভিএম চালাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ইভিএম দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় এবং দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ ইভিএমে বিশ্বাস করে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের দল কোনো কারচুপির নির্বাচন দেখতে চায় না এবং এ ধরনের নির্বাচনে জিততেও চায় না।
আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে।
আরও পড়ুন: যে যত বেশি লুণ্ঠন করতে পারে, সে তত বেশি সম্মানিত: জিএম কাদের
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মোবাইল ফোন ট্যাপিং অনৈতিক: জিএম কাদের
আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার দল জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে এবং বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমার সরকারের লক্ষ্য গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।
রবিবার রাজধানীর মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।’
মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বালুর মাঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে এক অনুষ্ঠান থেকে ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতির টোকাইদের নিয়ে জোট করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আমরা আবারও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং কেউ যদি নির্বাচনে কারচুপি করে তবে তারা তা কখনই মেনে নেবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। তখন বিএনপি কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল এবং খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। জনগণ তা মেনে নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘একই বছরের ৩০ মার্চ গণআন্দোলনের কারণে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং ২০০৬ সালের নির্বাচন ঘোষণা করেছে, যা ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল। অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। যখন জনগণ বুঝতে পেরেছিল যে তাদের ভোট কারচুপি করা হবে, তখন তারা পুনরায় আন্দোলন শুরু করে এবং খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরসূরি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে উপ-নির্বাচনে তারা আরেকটি আসনে জয়লাভ করে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে, তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে এবং দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতায় এসেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ'।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করছে: সেতুমন্ত্রী
রোজায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না: কৃষিমন্ত্রী
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনীতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারও শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে। শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্ব দিবেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই, তাদের কথায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে না, সরকারের পতন হবে না।
মন্ত্রী বলেন, সামনে রোজার মাস আসছে। সরকার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট হবে না।
রাজ্জাক বলেন, অবৈধভাবে ধনসম্পদ উপার্জন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। কত টাকা আমাদের দরকার, কতটুকু বিলাসিতা প্রয়োজন সেটি ভেবে দেখতে হবে। অন্যের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ফোরামের সভাপতি গোলাম সামদানি, প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ডা. সানোয়ার হোসেন, আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলুল করিম বাচ্চু, প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পুনর্মিলনীতে ৭৫ বছরের পুরনো বিদ্যালয়টির দুই হাজারেরও বেশী নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা দরকার, কারণ এটি দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য অনুকূল নয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাস্যকর বলেও উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
‘প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তিনি (তার মনোনয়ন) এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমরাও এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রমাণ করে যে বিদ্যমান সংবিধান দেশের সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তাই সংবিধান সংশোধন করতে হবে,’ বলেন বিএনপি নেতা।
বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিটের পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে এক ভাষণে তিনি বলেন, তাদের দল রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য এর আগে পেশ করা ২৭ দফা মেমোতে সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে এবং একটি অংশগ্রহণমূলক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে - যার জন্য সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন।
শুক্রবার বিএনপির নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ দলের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য মতিঝিল থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে গোপীবাগে পদযাত্রা শুরু করেন।
বিদ্যুত-গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন এবং কোনো শর্ত ছাড়াই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেও এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল।
মৌন পদযাত্রার মধ্য দিয়ে ফখরুল বলেন, দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পাশাপাশি তারা নগরবাসীকে জেগে ওঠা ও বর্তমান সরকারের দুঃশাসন ও দমন-পীড়ন প্রতিরোধ করার বার্তা দেবেন।
আরও পড়ুন: পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে আ.লীগ: বিএনপি
‘সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা দেশ ও এর প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। গত বছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামিট ফর ডেমোক্রেসিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এটা দুঃখের বিষয়,’ বলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মূলত একটি 'সন্ত্রাসী' দল যারা সর্বদা সহিংসতার আশ্রয় নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়। ‘তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে এবং মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। তারা আবারও আগামী নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি ও দেশের জনগণ আর নির্বাচনে যাবে না।
‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসা বিদেশিদের উদ্দেশে বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে খুব ভালো নির্বাচন হবে এবং সবাই স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। এমন মন্তব্য শুনে ঘোড়ারাও হাসতে শুরু করে,’ বলেন ফখরুল।
তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, বিএনপি ও বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ কখনোই এমন কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না যেখানে তারা তাদের ভোট দিতে পারবে না।
আর সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানান ফখরুল। ‘আপনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ গ্রহণের পর সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তা না হলে দেশের মানুষ আপনাকে রেহাই দেবে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছে। ‘সরকারের নির্দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা (সরকার) এখন পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা ও দমন-পীড়ন করছে।
আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, গত ১৩ মাসে পুলিশের হাতে ৭২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশও অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয় এবং ১০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: পণ্যের বাজার, সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করে টাকা লুটপাট করছে আ.লীগ সিন্ডিকেট: বিএনপি
বিএনপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ অনেক নেতাকর্মীকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের দমন-পীড়ন করেছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ক্রমশ গরীব হচ্ছে আর ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত হয়ে ধনী হচ্ছে। ‘তারা এমনভাবে লুণ্ঠন ও চুরিতে লিপ্ত হয়েছে যে এখন পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার জন্য ব্যাংকে টাকা নেই এবং ডলারও নেই। তারা চুরির সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।’
এর আগে বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা উত্তরার জসিমউদ্দিন রোড মোড় থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত মিছিল করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডক্টর আবদুল মঈন খান ও আবদুল আউয়াল মিন্টুসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ব্যানার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী পৃথক দুটি কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি ছাড়াও এলপিডি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটও বর্তমান সরকারকে হটিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে।
শনিবার একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির অন্যান্য মহানগর ইউনিটগুলো।
এর আগে দলটির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে যথাক্রমে ২৮, ৩১, ৩০ ও ১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিল, উত্তরায় বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর শাখার মিছিল
বিএনপি নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। তাই পথ হারিয়ে তারা পদযাত্রা করে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে জনগণ না থাকলে সেটা আন্দোলন নয়। আন্দোলনে মানুষ থাকতে হবে। তাদের আন্দোলনে নেতাকর্মীরা আছে, সাধারণ জনগণ নেই। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জন সারা দুনিয়ায় সমাদৃত।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন ও মোশাররফ-ফজিলাতুন্নিছা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের জন্য নির্ঘুম রাত কাটান। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের কোনও দোষ নেই। বরং আমরা বেশি টাকায় আমদানি করে কম টাকায় বিক্রি করছি। আমরা মূল্য দিচ্ছি। দোষ বড় বড় শক্তির। তারাই আজকে সারা বিশ্বকে সংকটে ফেলেছে। শেখ হাসিনা সংকট সামাল দিচ্ছেন।
এছাড়া কয়েকদিন আগে আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানে দুই সপ্তাহের আমদানি করার ডলার নেই। পাকিস্তান তলানিতে নেমেছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে না। বাংলাদেশ দুঃসময়ে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা কর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়, তারা ভালো মানুষ না। নেতা হয়ে গরিবের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিলে ওই টাকা তার পরিশোধ করতে ১০ বছর লেগে যাবে। এই কথাটা ভেবে দেখবেন সবাই। সরকারের দুর্নাম হয় এমন কাজ করবেন না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২ মানুষের মৃত্যু নেই: সেতুমন্ত্রী
তিনি বলেন, মানুষের মনের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝতে হবে। বুঝতে না পারলে, ভুল করবেন। নির্বাচনে তার প্রমাণ পাবেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে নির্বাচনে হারানোর কোনও শক্তি বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশ গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায় মানুষ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি মোশারফ-ফজিলাতুন্নিছা ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪০৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদান করেন এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় ও উপজেলার ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে জনগণ। জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার। আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না।
এছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি ভেঙে যেতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে না আসলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিএনপির বহুলোক আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আলাপ করতে পারে, অন্যান্য দলেও চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুরে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে না। বিএনপি যাতে আন্দোলনের নামে ২০১৫ সালের মতো তাণ্ডব চালাতে না পারে, এবং দেশকে অস্থির করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে না পারে, সেজন্যই এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সচেতন করছি ও সক্রিয় রাখছি। এ সমাবেশ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।
তিনি বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলন কর্মসূচি করুক, কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগে ঢাকায় আন্দোলন করতো বিএনপি, সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা বিভাগে, জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছে, আর এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কর্মসূচি দিচ্ছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করছে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী