জনগণ
বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘বরং বিএনপি সংস্কারেরই দল, তবে সবকিছুর মূলে জনগণ। জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘আমরা গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বিএনপি সংস্কারেরই দল। কিন্তু কেউ কেউ নানান কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের দন্তস্য উচ্চারণ করেননি, তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন।’
সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে শুরু হয়েছে।
গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ আন্দোলন–সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সামনে আরেকবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তা কাজে লাগাতে চাই। আমরা এই কমিশনকে সহযোগিতা করছি, এই সরকারকে সহযোগিতা করছি, সেই প্রত্যাশা নিয়েই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি: ফখরুল
যদি ঐকমত্য কমিশনের কোনো সনদ না-ও হয়, বিএনপির জন্য সংস্কারের সনদ রয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, সবকিছুর মূলে জনগণ এবং জনগণের সম্মতিতে যেন সব হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আর জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায়, তা আমরা জানি।’
আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ,আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সচিব নিরুজ্জামান খান অংশ নেন।
আজ দিনব্যাপী এই আলোচনা চলতে পারে বলে ঐক্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে। আজ আলোচনা শেষ না হলে প্রয়োজনে আগামী সপ্তাহে আবারও বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন।
১০ ঘণ্টা আগে
জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক ইফতার মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন।
বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সম্মানে বিএনপি মিডিয়া সেল এই ইফতারের আয়োজন করে।
ভার্চুয়ালি ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে তারেক বলেন, ‘কোথাও কেউ হয়তো উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে.. আমরা বুঝতে পারছি— এর পিছনে একটি ষড়যন্ত্র আছে।’
আরও পড়ুন: ‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
তিনি বলেন, ‘একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমরা দেশের সকল দেশপ্রেমিক নাগরিক একসঙ্গে যদি কাজ করি, অবশ্যই এই ষড়যন্ত্রকে আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। আমাদের সর্বপ্রথম ও একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।’
এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) আপনাদের নিজের অবস্থান থেকে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরেন তাহলে— আমরা অবশ্যই এই চক্রান্ত নস্যাৎ করতে সক্ষম হবো।’
২৪ দিন আগে
জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ: তারেক
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি জয়লাভ করবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ।
তিনি বলেন, ‘এখন প্রয়োজন সর্বত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। একইসঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা—যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সুখ ও দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। নেতা-কর্মীদের দায়িত্বশীল ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংসসহ খাদের কিনারায় ফেলে গেছে। এখন সবাই মিলে দেশকে টেনে তুলতে হবে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, যোগাযোগ, চিকিৎসাসহ সকল উন্নয়নের জন্য হাতে হাত ধরে কাজ করতে হবে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না, একইসঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল।‘
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির কয়েক লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা হয়েছে। বিএনপির হাজারও নেতাকর্মীকে খুন ও গুম করা হয়েছে। ২৪’র জুলাই-আগষ্টে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। কয়েক হাজার আহত হয়েছেন। এদের রক্তকে মূল্য দিতে হবে।
৫২ দিন আগে
জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্ব ছাড়া রাষ্ট্রের সংস্কার সফল হবে না: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ সফল হবে না।
তিনি বলেন, ‘যারা মনে করেন নির্বাচনের আগে সংস্কার হওয়া উচিত, তাদের বুঝতে হবে যে, এই সংস্কারগুলো সফল হতে জনগণের সঙ্গে সত্যিকার অর্থে সংযুক্ত লোকদের প্রয়োজন। তাদের ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব হবে না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বলেন তিনি।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন পেছানো হলে তা দেশ ও সরকার উভয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রগুলো আরও গভীর হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ফটো সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে 'আমরা বিএনপি পরিবার' এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রতারণা করেছে বিগত সরকার: তারেক রহমান
তারেক বলেন, রাজনীতিবিদরাই দুই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাবগুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন, অন্য কেউ নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশে যদি সত্যিকারের সংস্কার করতে হয়, তাহলে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, কার্যকরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজনীতিবিদদের অবশ্যই পেশাদার, বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের কাছ থেকে পরামর্শ ও মতামত চাইতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই পরামর্শগুলোর ওপর ভিত্তি করেই আমরা ধীরে ধীরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সংস্কারই কোনোভাবেই পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে না।’
তারেক আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে যাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা আছে, তারাই তাদের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারে ও জনগণের ইচ্ছার আলোকে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ চায় তাদের মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করেই বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।
তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য রাজনৈতিক স্বাধীনতা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে ভোটাধিকার ও ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।‘
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া রাতারাতি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, তাদের দলসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক ও সমমনোভাবাপন্ন দলগুলো আড়াই বছর আগে দেশকে ঢেলে সাজানোর জন্য ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছিল।
বিএনপি নেতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তারা দেশ পুনর্গঠন এবং এর ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সঠিক দিকনির্দেশনা ও কৌশলের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। ‘এজন্য আমরা ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাবে তারা রাষ্ট্রকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দেশের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনার রূপরেখাও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
তারেক রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে প্রায় ৮০ জন ফটোসাংবাদিক আহত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকদের সাধ্যমতো পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
৫৯ দিন আগে
দ্রুত সময়ে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দিন।
তিনি বলেন, দেশে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচন দিলে তা আর হবে না। আমরা লড়াই করতে চাই লড়াই করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার তিস্তা বাঁচাও অবস্থান কর্মসূচির জনতার সমাবেশে এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের আগামী দিনের কান্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমান গণতান্তিক সরকারের জন্য মানুষকে সংগঠিত করে যাচ্ছেন। আমরা নির্বাচন দিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাই—যারা আমাদের কথা সংসদে বলবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি নিরপেক্ষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরপেক্ষ থাকলে হবে না, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনার পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা আমাদের পায়ের উপর দাঁড়াতে চাই। আমাদের ন্যায্য হিসাব আমরা বুঝে নিতে চাই। বন্ধুত্ব থাকবে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার ক্ষেত্রে কোনো বন্ধুত্ব নেই। এ আন্দোলন মানুষের বেঁচে থাকার আন্দোলন। লড়াই ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না আমরা লড়াই করে তিস্তা ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করতে চাই।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ -স্লোগানে অবস্থান কর্মসূচি পালনে নদী পাড়ে দলে দলে দেশের ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে এক যোগে টানা ৪৮ ঘণ্টার ওই অবস্থান কর্মসূচিতে ৫ জেলার কয়েক লাখ মানুষ জমায়েত হয়েছেন।
সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা রেলসেতু ও তিস্তা সড়ক সেতুর মধ্যস্থানে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে নারী পুরুষ দলে দলে এসে অবস্থান নিচ্ছেন। ১১টি পয়েন্টের তাবু গেড়ে ভেতরে মানুষ বিছানা পেতে অবস্থান নিয়েছে। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল বিশাল প্যান্ডেল ও শতাধিক তাবু টানানো হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় তিস্তা নদী পাড়।
অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি স্থানে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। শেষদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি এসব মঞ্চে দিনভর থাকবে তিস্তা পাড়ের মানুষের সুখ দুঃখের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ভাওয়াইয়া গানের আসর, ঘুড়ি উৎসবসহ নানান গ্রামীণ খেলাধুলা। এভাবে টানা ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা নদীর তীরেই অবস্থান করবেন রংপুরের ৫টি জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
সমাবেশের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পৃথক পৃথকভাবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ, গণসংহতির সভাপতি জুনায়েদ সাকি।
৫৯ দিন আগে
সরকারের পদ ছেড়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত নাহিদের
সরকারের পদ থেকে সরে গিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম। তিনি মনে করেন, সরকারে চাকরি করার চেয়ে সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘সরকারের (থাকার) চেয়ে জনগণের সঙ্গে কাজ করা, মাঠে যাওয়া যদি বেশি জরুরি বলে মনে হয়, তাহলে আমি সরকার ছেড়ে দেব এবং হয়তো সেই দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হব।’
সেটি এই মাসেই হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু দলের ঘোষণা এসেছে যে দলটি এ মাসেই হবে… কয়েকদিনের মধ্যেই সবাই এ বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পাবে।’
‘শিক্ষার্থীরা তো এখন রাজনৈতিক দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। তো আমার মনে হয় না যে তাদের আর সরকারে আসার কোনো প্রয়োজন আছে এই মুহূর্তে, বরং জনগণের কাছেই এখন তাদের বেশি প্রয়োজন-অপ্রয়োজন।’
সরকার থেকে তিনি সরে দাঁড়ালে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন—এর ব্যাখ্যায় সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন কেউ কিংবা বিদ্যমান উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে কে দায়িত্বে আসবে—কেবিনেটে (মন্ত্রিপরিষদে) এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
আরও পড়ুন: ফখরুলের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত: নাহিদ
রাজনৈতিক দল গঠন ও ভোটের রাজনীতি যে দুটি ভিন্ন বিষয়, তা জেনেই মাঠে নামা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে গোছানোর ওপরে, সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর এটা নির্ভর করবে জনগণের সমর্থন তারা কতটুকু ভোটে রূপান্তর করতে পারছে। জনগণের তো তরুণদের প্রতি একটা সমর্থন আছেই, সহানুভূতিও আছে যেহেতু তারা গণঅভ্যুত্থান করেছে।’
৫ আগস্টের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারছে বলে এ সময় জানান নাহিদ। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের (অন্তর্বর্তী) দূরত্বও কমেছে বলেও মনে করেন তিনি।
‘এই সরকারকে (অনেকে) অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক ইত্যাদি বলছিল; আওয়ামী লীগের নেতারাও এভাবেই বলছিল। তবে পরবর্তীতে আমরা দেখেছি যে বিএনপি তার জায়গা পরিষ্কার করেছে, তাদের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে যে আওয়ামী লীগের রাজনীতি তারা চায় না; বিচারিক প্রক্রিয়ায় তারা এটার (আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের) ব্যবস্থা তারা চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তো একটা ভোটব্যাংক আছে, হিস্ট্রিকালি (ঐতিহাসিকভাবে) আমরা দেখি। তবে সেটা কতটুকু বাড়বে বা কমবে, সেটা আমরা এখনই বলতে পারব না। কারণ এবারের ভোটের ইকুয়েশনটাই (সমীকরণ) একটু ডিফরেন্ট (ভিন্ন) হবে বলে মনে হয় আমার।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা রাজনীতির মাঠে ফেরা না ফেরার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে কি না—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা এটা করতে চাই, কেবল নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে আমরা কিছু করে দিতে চাই না।…. বিচারিক কার্যক্রম শুরু হলে, সকল তথ্য-প্রমাণ এলে এবং আদালতের সুপারিশক্রমে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।’
সেটি কবে নাগাদ হবে?—জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বছরের মধ্যেই। অবশ্য নির্বাচনের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবেই। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী মাসে প্রতিষ্ঠিত হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর: নাহিদ ইসলাম
ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙচুর নিয়েও তিনি এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘সরকার এই কার্যক্রমকে সমর্থন করে, এমন নয়। তবে ওই সময় যদি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে থামিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে সেটি আরও বেশি হটকারিতায় পরিণত হতে পারত।’
৬১ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক নীতি অনুযায়ী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ বা আসন্ন নির্বাচনে একেবারে নিষিদ্ধ করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা বারবার বলেছি, আমরা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রের নীতি ও অনুশীলনে বিশ্বাস করি এবং সেগুলো মেনে চলি। অতীতেও আমরা তাই করেছি।’
বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের অনুরোধের বিষয়ে এক সাংবাদিকের দৃষ্টি আকর্ষণের পর বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা।
তিনি বলেন, তাদের দল বিশ্বাস করে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, কে কাজ করতে পারবে বা কে পারবে না, তা ঠিক করার দায়িত্ব তাদের নয়। ‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। জনগণই নির্ধারণ করবে কোন দল থাকবে, কোন দল থাকবে না, কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে আর কোনটি নির্বাচন করবে না।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাকে বিএনপি সমর্থন করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা আগেই বলেছি, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা বড় কথা নয়... এটা জনগণের ব্যাপার, আমাদের নয়।’
এর আগে বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বিগত সরকার, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো সহিংস ও পরিকল্পিতভাবে ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আপত্তি নেই, সংস্কার আগে হতে হবে: জামায়াত
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ দমনে সরাসরি জড়িত সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য সূত্রের বরাত দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বড় আকারের ধারাবাহিক অভিযানের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান করেছেন। সেসময় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করেছে বা নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছে।
তবে বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ না করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নয়
ফখরুল বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রবর্তনের তীব্র বিরোধী।
তিনি বলেন, ‘আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। আমরা কোনো ধরণের আনুপাতিক নির্বাচনকে সমর্থন করব না। কারণ, দেশের জনগণ এতে অভ্যস্ত নয়। এ ধরনের প্রশ্ন ওঠাও উচিত নয়।’
ফখরুল বলেন, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেরও বিপক্ষে। ‘আমরা এর সঙ্গে পুরোপুরি দ্বিমত পোষণ করছি। এটা দেশকে আরও ভঙ্গুর রাজনৈতিক অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন, যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তত তাড়াতাড়ি রাজনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণ আরও স্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। স্থিতিশীলতা ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে জাতীয় নির্বাচন জরুরি।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমানে প্রশাসন গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন। একবার সুশাসন পুনপ্রতিষ্ঠিত হলে— আপনি দেখতে পাবেন যে অর্থনীতির উন্নতি হবে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিস্থিতিও উন্নত হবে। ... বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলো এখনো ঠিকমতো চালু হয়নি। সেসব ব্যবস্থা ঠিক করা হবে। নির্বাচিত সরকার না থাকলে এসব বিষয় সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে আমরা সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করবে— তা নিয়ে তিনি অনিশ্চিত।
ফখরুল বলেন, সরকার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করছেন বলে সরকারপ্রধান তাদের জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গণহত্যার বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি বিএনপির আহ্বান
৬৩ দিন আগে
জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা: অন্তর্বর্তী সরকারকে গয়েশ্বর
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনগণের ভাষা আপনারা নন, বুঝি আমরা। কেমনেই-বা বুঝবেন, আপনারা তো জনগণের সরকার না?’
তিনি বলেছেন, ‘জনগণের ভাষা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে তাই দ্রুত নির্বাচন দিন। জনগণ চায় সুষ্ঠু অবাধ একটি নির্বাচন, আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকাল বিকাল শুধু সংস্কার সংস্কার করছে।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাট রেলওয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘১৭ বছর ধরে আন্দোলনে আমরা পিছপা হইনি, বরং আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশে আমরাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার দল।’
‘ছয়টি বছর ধরে বিদেশে বসে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায়ই হচ্ছে সংস্কার।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছেই; একজন কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না; দাম কমানোর কোনো পদক্ষেপেই নিচ্ছে না এই সরকার। এই সরকার জনগণের ভাষা বোঝে না। কেমনেই-বা বুঝবে, তারা তো জনগণের সরকার না! জনগণের ভাষা হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন।’
‘জনগণ ও তরুণদের দাবি, সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে নির্বাচিত করা। এই কাজ যদি আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) করতে পারেন, তাহলে পাশে আছি। ১৬ বছর পর সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সঠিক নির্বাচন চাই।’
তিনি বলেন, ‘ইউনুস সাহেব ভালো মানুষ, কিন্তু তাকে ঘিরে রয়েছে কিছু বুদ্ধিজীবী যারা রাজনীতিবিদদের সম্মান করতে জানেন না। দেশ কীভাবে চলছে—তা কেউ জানে না; প্রশাসন কাজ করছে না। তাই এখন কোনোকিছু খারাপ চিন্তা না করে দেশের মানুষের কথা ভেবে নির্বাচন দেওয়াই প্রযোজ্য।’
আরও পড়ুন: দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও গণতন্ত্র এখনও মুক্ত হয়নি: গয়েশ্বর
এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতার মধ্য দিয়ে একটি সরকার চলতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবসময় শুধু সংস্কার নিয়ে কথা বলবে, সেটা মেনে নেবে না বিএনপি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল হক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
৬৪ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের কথা মনে রাখব: সরকারি কর্মচারীদের মঈন খান
জনগণের ভোটের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় যেতে পারলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করব। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।’
‘যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে। সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি,’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
‘একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (নির্বাহী শাখা)। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন, আমার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন।’
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো,’ বলেন মঈন খান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধি। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।
৬৮ দিন আগে
রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রাখতে হবে: সেলিম উদ্দিন
রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপদ আশ্রয়ের সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে জামায়াত কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগিরকের আয়-রোজগারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে। রাষ্ট্রই অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে।’
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে দক্ষিণ খান পশ্চিম থানা জামায়াতের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আয়োজিত সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের একশ্রেণির রাজনীতিক জনগণের ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার বনে যান। তারা নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ ও জনগণের ওপর জুলুম করার জন্যই মাস্তান পোষেন। মানুষ তাদের পেছনে দৌঁড়াতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেদিন শেষ হয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, অপরাজনীতি বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই চলবে না। এদেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের কথা মাথায় রেখেই করতে হবে। এক টাকার ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও জনগণকে কষ্ট দেওয়ার অশুভ বৃত্ত থেকে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থ, সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থের বিপরীতে জাতীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে দেশ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আমরা জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে সক্ষম হবো। তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচারকে ব্যসায়িক পণ্যে পরিণত করা হয়েছে। পতিত স্বৈরাচারের আমলে ব্যাপকভাবে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এমনকি বই, খাতা, কলমসহ শিক্ষা উপকরণের দাম ছিল সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম- শোষণের হাতিয়ার হিসাবে। তাই সেই অশুভ রাজনীতির কালো থাবা থেকে বেড়িয়ে এসে আমাদেরকে জনকল্যাণের রাজনীতি শুরু করতে হবে।
আরও পড়ুন: এদেশে আর কোনো মাইনরিটি-মেজরিটি শুনতে চাই না: জামায়াত আমীর
দেশের সকল নাগিরক সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সকলে মিলে সে পরিকল্পনা গ্রহণ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। দারিদ্র বিমোচন ও বেকার সমস্যার সমাধনের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য দেশে ব্যাপকভিত্তিক শিল্পায়ন হওয়া দরকার। তাহলেই দেশ আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে।
থানা আমির আবু সাঈদ শাহনাওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও উত্তরা পূর্ব জোন পরিচালক মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন।
উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমির মো. মামুন, সেক্রেটারি আলী হোসাইন মুরাদ, কাউন্সিলর প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম ভূঁইয়া, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আইয়্যুব আলী, মো. আশরাফুল আলম, সিরাজুল ইসলাম মামুন, নূরুল কবির ও নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
১০১ দিন আগে