করোনা সংক্রমণের হার এক সপ্তাহে নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তবে আমরা দেখছি যে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। সপ্তাহের শেষে ১২ ফেব্রুয়ারি এ হার এসে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিম্নমুখী রয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নতুন রোগী শনাক্তের হার যেখানে আট হাজার ৩৪৫ জন ছিল, সেটি ১২ ফেব্রুয়ারি কমে পাঁচ হাজার ২৩ জন হয়েছে।
তিনি বলেন, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থীরা আছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের একটি বড় অংশই টিকা নিয়েছে। সকল পরিস্থিতি যদি আমাদের অনুকূলে থাকে তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যেতেই পারে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে জানিয়ে অধিদপ্তর জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা শিক্ষার্থীদের সচেতন করবেন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে ডা. নাজমুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনের নতুন উপধরন আরও বেশি সংক্রামক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তিনি বলেন, আমরা করোনার সঙ্গে গত দু'বছর ধরে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। সতর্কতার সর্বোচ্চ পর্যায়টি যদি আমরা অবলম্বন করতে পারি, তাহলে মৃত্যু ও সংক্রমণ অবশ্যই কমে আসতে বাধ্য হবে। আমরা টিকা কার্যক্রম সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, যে কারণে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে এবং হাসপাতলে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যাও কমে এসেছে। মানুষজন করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসগৃহে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এমনকি কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত সমস্ত বিধি-নিষেধ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বই কার্যকর রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, অমর একুশে বইমেলা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। এ মেলায় যারা অংশগ্রহণ করবেন, যেসব প্রকাশক আছেন, স্টলে যেসব কর্মচারী কাজ করবেন তারা টিকার সনদটি সঙ্গে রাখবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় আসবেন।
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাসমান মানুষদের টিকা আমরা রাজধানী দিয়ে শুরু করেছি, এখন একটি গোটা দেশেই ছড়িয়ে দেয়া হবে। তবে সারাদেশে কবে শুরু করা সম্ভব হবে সেটির নির্ধারিত তারিখ দিয়ে আমরা শুরু করতে পারবো না। যেহেতু তারা নির্দিষ্ট কোন একটি স্থানে বসবাস করে না, সেহেতু তাদেরকে একত্র করে টিকা দেয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং।
আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ হলে ১০ দিনের আইসোলেশন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর