অতিরিক্ত কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে টেলিকম অপারেটরটি।
সোমবার (১ জুলাই) গ্রামীণফোনকে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক৷
পলক বলেন, ‘আমরা শোকজ করেছি প্রথমে গ্রামীণফোনকে। অন্যগুলোর এনাইলাইসিস চলছে। তারা যদি সঠিকভাবে কারণ ব্যাখ্যা দিতে পারে তাহলে এইবারের মতো তারা মাফ পাবে। আর যদি কারণ ব্যাখ্যা সঠিকভাবে না দিতে পারে তাহলে তো ১ কোটি হতে ৩০০ কোটি পর্যন্ত বিটিআরসি ফাইন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি বলেন, ‘৩০ তারিখের মিটিংয়ে টেস্ট ড্রাইভের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে আমরা ৪টি মোবাইল অপারেটরকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছি।’
ভয়েস কল, ডেটা ও নেটওয়ার্কের কাভারেজ -এই ৩ মূল বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান যাচাই করা হয়। আর এটি যাচাই করতে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস ড্রাইভ টেস্ট’ চালায় বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ড্রাইভ টেস্টে গ্রামীণফোনের ভয়েস এবং ডেটা দুটিই কাঙ্খিত মানে পাওয়া যায়নি। বিটিআরসি এর কারণ জানতে চেয়েছে। ‘যেকোনো অপারেটরই সেবার কাঙ্খিত মান ঠিক না রাখতে পারলে ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। গ্রাহকদের কোনো ভোগান্তি গ্রহণযোগ্য নয়।’
কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুযায়ী, ভয়েস কলের ক্ষেত্রে অন্যতম ইস্যু কলড্রপের ক্ষেত্রে এটি ২ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে। আর কল সেটআপের জন্যে বিটিআরসি নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া আছে ৭ সেকেন্ড। আর এখানে ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটে ডাউনলোডের সর্বনিন্ম গতি ৭ এমবিপিএস হতে হবে।