আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ড. টার্ক একজন ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রনায়ক, যিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ মেয়াদে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে স্লোভেনিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত। সেই সাথে তিনি ২০০০ থেকে ২০০৫ মেয়াদে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিব হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
ড. টার্ক চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সফর করেন এবং কসমস ফাউন্ডেশনের ‘ডিস্টিংগুইশ স্পিকারস লেকচার সিরিজ’ এর অংশ হিসেবে ‘ইইউ অ্যান্ড দ্য কনটেম্পরারি গ্লোবাল সিনারিও: এ রিফ্লেকশন ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এ বক্তব্য সমাদরের সাথে গৃহীত হয়।
ড. টার্কের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, ‘উপদেষ্টা পর্ষদে যোগ দিয়ে প্রেসিডেন্ট টার্ক আমাদের বিপুলভাবে সম্মানিত করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি, আন্তর্জাতিক আইন এবং কূটনীতির পাশাপাশি একাডেমিক ক্ষেত্রে তার রয়েছে প্রসিদ্ধ পেশাগত জীবন। তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক উপকৃত হব।’
উল্লেখ্য, কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পর্ষদের বাকি দুই সদস্য হলেন মার্কিন অধ্যাপক জর্জ এডওয়ার্ড মোজ এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কৃষ্ণান শ্রীনিবাসন।
বর্তমানে ইউনাইটেড স্টেটস পিস ইনস্টিটিউটের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজ যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাবেক পেশাদার কূটনীতিক। তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরে আফ্রিকাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘের জেনেভা কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এবং বেনিন ও সেনেগালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।
কৃষ্ণান শ্রীনিবাসন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব, লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ে উপমহাসচিব এবং বাংলাদেশে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং বিশ্লেষক হিসেবে সুপরিচিত এবং দীর্ঘদিন কলকাতার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউটের সাথে জড়িত ছিলেন।
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। স্বনামধন্য কূটনীতিক থেকে স্কলার বনে যাওয়া ড. ইফতেখার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।