বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স. রবিন্স কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে যোগদান করেছেন।
ডা. কেনেথ রবিন্স পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে তার বি.এ. এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন থেকে এম.ডি. শেষ করেন।
তিনি ১৯৬০ -এর দশকে বিভিন্ন ডিলার ও নিলাম থেকে রাজপুত, ডেক্কানি, মুঘল ও দ. এশিয়ার বিভিন্ন নিদর্শন সংগ্রহ শুরু করেন এবং তার সংগ্রহগুলো ব্যবহার করে দ. এশিয়ার ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর ১৪টি বই প্রকাশ করেছেন।
মহারাজা, নবাব ও ডেক্কানি সুলতান থেকে শুরু করে আফ্রো-দক্ষিণ এশীয়দের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ব্যাপারে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
ডা. রবিন্স ও তার স্ত্রী জয়েস পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে এক লাখেরও বেশি আইটেম সংগ্রহ করেছেন। যেগুলো বৃহত্তর দ. এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় বৃহত্তর অঞ্চলের আফ্রিকানদের ইতিহাস এবং ভারত ও এর বাইরের ইহুদি প্রবাসীদের ইতিহাসকে তুলে ধরে।
পরিষদে ডা. রবিন্সকে স্বাগত জানিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে ডা. কেনেথ এক্স. রবিন্সকে পাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের। দক্ষিণ এশীয় শিল্পকলা, ইতিহাস এবং মানুষের মধ্যে অনাবিষ্কৃত সংযোগের ব্যাপারে যে আবেগ ও অদম্য তৃষ্ণা ডা. রবিন্স তার সংগ্রহ ও প্রকাশিত রচনাগুলোর মাধ্যমে দেখিয়েছেন তা বিস্ময়কর। বাংলাদেশি শিল্প ও সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার জন্য কাজ করা একটি নেতৃস্থানীয় সংস্থা হিসেবে কসমস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদে ডা. রবিন্স থাকা, আমাদের লক্ষ্যের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান বলেন, ‘যেভাবে আমাদের সংস্কৃতি একে অপরকে ঐতিহাসিকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে আজও একে অপরকে প্রভাবিত করে যাচ্ছে তা মানবকল্যাণে অমূল্য অভিজ্ঞতা শেখায়। ডা. রবিন্সের এই অগ্রণী কাজ ভারত মহাসাগরীয় এলাকা জুড়ে আফ্রিকা থেকে ভারতে মানুষের চলাচল এবং জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্প ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের আকর্ষণীয় অজানা ইতিহাস বিশ্ববাসীর সামনে গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে। কয়েক দশক ধরে তার বিস্তৃত অন্বেষণ অবশ্যই কসমস ফাউন্ডেশনকে সমৃদ্ধ করবে।’
কসমস ফাউন্ডেশন
কসমস ফাউন্ডেশন হলো কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা। উন্নত ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সহায়তা করার কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি এবং নীতিগত সমাধান প্রদানের জন্য নিবেদিত একটি ট্রাস্ট হিসেবে এটি নিবন্ধিত। ফাউন্ডেশনটি বাংলাদেশের শিল্পকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মাঝে প্রচারে কাজ করে।
এটি কসমস গ্রুপের সংগ্রহশালা গ্যালারি কসমস এবং এর প্রিন্টমেকিং স্টুডিও আতেলিয়ার ৭১ এর দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
আরও পড়ুন: নর্ডিক দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী: কসমস ডায়ালগে রাষ্ট্রদূতেরা