কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে দুই চিকিৎসকের জরিমানা করেছে উপজেলা ভোক্তা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কুমারখালী পৌরসভার হলবাজার এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
ভুয়া চিকিৎসক আবুল বাসার সেতুকে (৩৬) ৫০ হাজার টাকা এবং মো. তারেক মাহমুদ তরুর (৩৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও তাদের চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিফাত হিমেল ও থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন - কুমারখালী পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার মো. খোকনের ছেলে আবুল বাসার সেতু। এবং একই এলাকার মো. আফজালের ছেলে তারেক মাহমুদ তরু।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আবুল বাসার সেতু মেডিসিন, নাক, কান ও গলা রোগের চিকিৎসা দেওয়ার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তিনি প্রায় এক বছর যাবৎ হলবাজার এলাকায় ডক্টর ভেলি নামক চেম্বার খুলে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
অপরদিকে একই এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ও প্রশিক্ষণ ছাড়ায় দাঁতের রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ও প্যাড ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন ভুয়া চিকিৎসক তারেক মাহমুদ তরু। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে জনসেবা ডেন্টাল কেয়ার নামক চেম্বার খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভুয়া চিকিৎসক সেতুর কাছ থেকে ৫০ হাজার এবং তরুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের চেম্বার দুটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত জানান, বৈধ কাগজপত্র ও যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে নাক, কান, গলা ও দাঁতের চিকিৎসার দেওয়ার অপরাধে ভুয়া চিকিৎসক আবুল বাসার সেতুকে ৫০ হাজার টাকা এবং মো. তারেক মাহমুদ তরুকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের চেম্বার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।