কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় শতবর্ষী দোকান ভবনের ছাদের অংশবিশেষ ধসে পড়ে মা ও ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ আগষ্ট) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে পৌরশহরের সোনাবন্ধু সড়কের বুলবুল টেক্সটাইলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন - জেলার খোকসা উপজেলা শহর এলাকার প্রবাসী সজিব হোসেনের স্ত্রী লাবনী খাতুন (২৫) ও তার ছেলে হাবিব (৩)। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কুমারখালী পৌরশহরের সোনাবন্ধু সড়কে বুলবুল টেক্সটাইলের সামনে পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মৃত রহিম জোয়ার্দারের বংশধরের একটি শতবর্ষী পুরাতন পাকা দোকানঘর রয়েছে। শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ভবনের সামনের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। এ সময় ভবনের নিচে থাকা প্রবাসী সজিবের স্ত্রী লাবনী ও তার ছেলে হাবিব গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পড়ুন: কায়রোয় ভবন ধসে নিহত ৮
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের উপর থেকে ভবনের ধসে পড়া অংশ অপসারণ করা হচ্ছে। কাজ করছে পুলিশ। উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হঠাৎ শতবর্ষী পুরানো দোকান ভবনের সামনের অংশ ধসে একজন নারী ও শিশুর আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত লাবনীর স্বামী সজিব হোসেন বলেন, ছেলে অসুস্থ। মোটরসাইকেলে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ অসুস্থ ছেলে বমি শুরু করলে দোকানটির সামনে দাঁড়ায়। সেসময় ছাদ ধ্বসে ছেলের মাথায় ও স্ত্রী পা গুরুতর ক্ষত হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন গুলো অপসারণের জন্য খুব দ্রুত ১৫ কার্যদিবসের চিঠি দেওয়া হবে। আইন না মানলে পৌরসভার মাধ্যমে ভবনগুলো অপসারণ করা হবে।