গত ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ও ড. এম. এ রশীদ হলের মধ্যকার ফুটবল খেলার শেষ পর্যায়ে মাঠে এবং পরবর্তীতে হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্ত শেষে কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মজুমদারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া সব শিক্ষার্থীকে প্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে অপরাধের প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ছয় টার্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের মো. আল আরাফাত আবির (রোল: ১৬০৩০৪৩), রাহাত আহম্মেদ ইমন (রোল: ১৬২১০২২) এবং মো. শাহীন আলম (রোল: ১৬০৫১০০); চার টার্মের জন্য একই হলের কাজী আকিব জাভেদ (রোল: ১৫০৭০৬০), মো. তরিকুল ইসলাম (স্বরণ) (রোল: ১৭০৯০২১); দুই টার্মের জন্য মো. রাশাদ রাফিদ অর্নব (রোল: ১৫১১০৪৮) ও সুদীপ বিশ্বাস (রোল: ১৫১১০৫৭); এবং এক টার্মের জন্য মো. নাসির উদ্দিন (রোল: ১৬২১০৩২)। বহিষ্কারের শাস্তি ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের জোড় টার্ম থেকে শুরু হবে।
এদিকে, অমর একুশে হলের শোয়েব ইসলাম (রোল: ১৫২৩০০১) ও মো. ফয়সালকে (রোল: ১৫১১০৩৬) ৩০ হাজার টাকা জরিমানা; ফজলুল হক হলের রাছিন জামান (রোল: ১৫১৯০১২), আহসানুল আবেদিন (হৃদয়) (রোল: ১৭১১০৪২), সৈকত দেকে (রোল: ১৫১৯০২০) ১০ হাজার টাকা; অমর একুশে হলের মো. রেদওয়ানুল আমিনকে (রোল: ১৭১৯০১৯) ৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছ।
এছাড়া, অমর একুশে হলের তিলক বড়ুয়া (রোল: ১৬২৩০০২), মো তানভীর আহম্মেদ (তনয়) (রোল: ১৭০৫০১৫), ফজলুল হক হলের নুর মোহাম্মাদ (নাহিদ) (রোল: ১৬০৫০৮৮), গোলাম রাব্বি সিয়াম (রোল: ১৭২৩০০৮), আমিনুল ইসলাম শিহাব (রোল: ১৬০৫০৭৪), অনিকুর রহমান (রোল: ১৭০৩১১৭), মুহিব্বিন হোসেন সরদার (মুন্না) (রোল: ১৭০৭০৮১), মো. কাউসার (রোল: ১৮১৯০০৩), মো. শরিফুল ইসলাম (রোল: ১৮১৯০০৯), সলিম আবেদিন ফাহিম (রোল: ১৮০৯০৫৮), তানভীর রহমান (রোল: ১৬০৩০৭৮), ফাহিম ফয়সার অর্নব (রোল: ১৬০৫০৯০) ও অমর একুশে হলের নাফসি আহমেদকে (রোল: ১৭১৯০৩১) সতর্ক করা হয়েছে।