কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করার সময় ঠাকুরগাঁও রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে আন্দোলনকারীরা সড়কে নামলে সত্যপীর সেতু পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আন্দোলনকারীরা সড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী।
এর আগে দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে সমবেত হয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী অবস্থান নেয় তারা।
পরে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এবং পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অভিভাকদের কয়েকজনকে অংশ নিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে রাস্তার মাঝের ডিভাইডারের র্যালিং ভেঙ্গে ফেলে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৩০ জন আহত হয় বলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
এর আগের দিন ঠাকুরগাঁওয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলকারীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় দফায় দফায়
ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায় ও পুলিশ ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আহত হয় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন।
পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাঠক বলেন, পুলিশ অনেক ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে। তবে কোন রকম নাশকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।