ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে এগুচ্ছে শেয়ারবাজার। পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার ডিএসইর কার্যালয়ে ডিএসই চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এই নির্দেশনার বিষয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে আজকের এই বৈঠক।
হাফিজ মুহম্মদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সবাই একসঙ্গে কাজ করব। যা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উন্নত বিশ্বে বড় বড় প্রজেক্টগুলো পুঁজিবাজারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে তা ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। যা অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক নয়।’
করের বিষয়ে ড. হাসান বাবু বলেন, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে অবশ্যই করের একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকতে হবে। এ বিষয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এছাড়াও দ্বৈতকর ও অন্যান্য পলিসি সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষিত করে যে কোনো পলিসি তৈরি করতে হবে। বহুজাতিক কোম্পানি, ভালো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, আরএমজি সেক্টরের গ্রিন ফ্যাক্টরি কোম্পানিগুলো ও ইন্সুরেন্স খাতসহ অনেক ভালো খাত রয়েছে যাদের বাজার আনার জন্য সুযোগ রয়েছে। শুধু ভালো কোম্পানিকে বাজারে আনতে একটি রিসার্চ সেল তৈরি করে কাজ করতে হবে। পুঁজিবাজারকে ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিলে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
ড. হাসান আরও বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। গঠনমূলক কর্ম পরিকল্পনা সফলতা নিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পুঁজিবাজারে কর্পোরেট গভর্নেন্সের অভাব, আর্থিক প্রতিবেদনের জবাবদিহির অভাব এবং বাজারে ঘনঘন নিয়ম নীতির পরিবর্তন নিয়ে সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
বৈঠকে আরও ছিলেন ডিএসইর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।