আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে অংশ নিতে দেয়া নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই।
তিনি বলেছেন, ‘মানুষের সত্যটা জানার অধিকার আছে। আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে ঘটনাটি জানিয়েছি। এ বিষয়ে কোনো বিদেশি চাপ নেই।’
বৃহস্পতিবার বিআইএসএস মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে সরকারের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ‘রোহিঙ্গা সংকট ও উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল বলেন, খালেদাকে দুটি শর্তে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল এবং এর কোনোটিই তার রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে ছিল না।
তিনি বলেন, শর্তগুলো হলো, তিনি তার ঢাকার বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং তাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হবে না।
আনিসুল বলেন, বিএনপিকে বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের কোনো ‘গেম প্ল্যান’ নেই। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে খালেদার সক্রিয় অংশগ্রহণ নির্ভর করে তার শারীরিক অবস্থার ওপর।
এর আগে রবিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন রাজনীতিতে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারলেও আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী
সরকার তার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি রাজনীতি করবেন কি করবেন না, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়।’
আনিসুল বলেন, ‘সংবিধানে বলা হয়েছে, দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নতুন করে বলার কিছু নেই।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিএনপি নেতা। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার স্বাস্থ্য খারাপের কথা বিবেচনা করে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাজা স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী