ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১ নভেম্বর থেকে মাঠ প্রশাসন গোছানোর কাজ শুরু হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাঠ প্রশাসনে যেন এমন পদায়ন না হয়, যারা গত তিনটি নির্বাচনে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তিনি বলেছেন, ‘সেখানে (মাঠ প্রশাসনে) তারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে থাকুন না কেন, গত তিন নির্বাচনে তাদের যদি ন্যূনতম ভূমিকা থাকে, তাহলে যেন পদায়ন না হয়, এ বিষয়ে বলা হয়েছে।’
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রেস সচিব।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে মূলত চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো— মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের পদায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য মোকাবিলার উপায়।
শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সবচেয়ে যোগ্য লোকগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিয়োগ করতে হবে। বিগত তিনটি নির্বাচনে ডিসি, এডিসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের এবারের নির্বাচনে যুক্ত না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।’
‘সেখানে (মাঠ প্রশাসনে) তারা রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা অ্যাসিস্টেন্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে থাকুন না কেন, গত তিন নির্বাচনে তাদের যদি ন্যূনতম ভূমিকা থাকে, তাহলে যেন পদায়ন না হয়, এ বিষয়ে বলা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন বৈঠকে অবহিত করেছে যে, তারা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্বের বাইরে রাখতে কাজ করছে।