গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরের মেঘডুবি এলাকায় মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইনে রাখা ৪৪ জন ইতালি প্রবাসীর মধ্যে আটজনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় গত দুদিনে দুই দফায় তাদের উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে।
‘যেহেতু একজনের ফলাফল পজিটিভ তাই কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রবাসীদের স্বজনদের ডেকে এনে বাকি ৩৬ জনকে আরও ১৪ থেকে ২১ দিন এখানে থাকতে হবে বলে জানানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, গাজীপুরে আরও কোয়ারেন্টাইন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এ জেলায় মোট ১৮ জনকে হোম কোয়ারাইটাইনে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে নতুন করে একজন আক্রান্ত হওয়ায় বাংলাদেশে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
গত মঙ্গলবার দেশে আরও দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং আক্রান্তদের মধ্যে দুজনই পুরুষ।
গত ১৬ মার্চ দেশে তিনজনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানায় আইইডিসিআর। যাদের মধ্যে দুজন শিশু এবং একজন নারী।
গত ১৪ মার্চ দেশে আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল, যাদের মধ্যে একজন ইতালি থেকে এবং অন্যজন জার্মানি থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন।
গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন। তবে প্রথম আক্রান্ত হওয়া তিনজনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
প্রথম আক্রান্ত হওয়া ওই তিনজনের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন এবং অপরজন তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, চীন থেকে সংক্রমিত হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের ১৬২টি দেশেরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে প্রায় দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় আট হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।