আগামীতে সংসদ নির্বাচন হওয়ায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘গাজীপুর নির্বাচন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামীতে সংসদ নির্বাচন হবে। আমরা মনে করি এর আগে এত বড় পরিসরের নির্বাচন অনেক জাতীয় তাৎপর্য বহন করবে। সেজন্য গাজীপুর নির্বাচন একটি মডেল হওয়া উচিত।’
বুধবার গাজীপুরের শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার মিলনায়তনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের রিটার্নিং অফিসার ফরিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাদিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সিইসি বলেন, ‘এই নির্বাচন একটি উদাহরণ তৈরি করুক। চলুন একটি ভাল পছন্দ করি। সারা বিশ্বের দেশ আমাদের নির্বাচনের কথা বলছে এবং আমরা তাদের তা করা থেকে আটকাতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিএনপিকে আমন্ত্রণ: সিইসি
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ধীরে ধীরে খারাপ সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। আমাদের ভোট ব্যবস্থা এখনও পচা ও খারাপ সংস্কৃতিতে ভরপুর। আপনার সাহায্যে, এমন একটি সময় আসতে পারে যখন সবাই শান্তিতে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কালো টাকা নিয়ে কারও চিন্তা করা উচিত নয়। যতই কালো টাকা বিতরণ করা হোক না কেন। আপনি যাকে বিশ্বাস করেন, যাকে ভালো মনে করেন তাকে ভোট দিন। কারণ ভোটের সময় কোনো প্রার্থী থাকবে না।’
বৈঠকে প্রার্থীরা তাদের অভিযোগ ও দাবি তুলে ধরেন। নির্বাচন কর্মকর্তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন। সভায় মেয়র প্রার্থী ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আট মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৫৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৯টি সংরক্ষিত পদের নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশ নেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, মহিলা ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং হিজড়া ভোটার ১৮ জন।
এবারের নির্বাচনে মোট ৪৮০টি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৭টি। এর মধ্যে ৪৯১টি অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নেওয়া হয়নি: সিইসি