গ্যাস বিতরণ খাতে সিস্টেম লস দুই বছর আগে ২২ শতাংশ থেকে এখন সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই বছরের মধ্যে সিস্টেম লস শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা।’
গ্যাস বিতরণ খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান তিতাস। দেশের মোট ৪৮ লাখ খুচরা গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ২৮ লাখই এই সংস্থাটির।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প সংযোগ ৩৩৬টি, বাণিজ্যিক সংযোগ ৪৭৫টি, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র ৯৭টি, সিএনজি স্টেশন ১৩টি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
তিনি আরও বলেন, অবৈধ গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন অপসারণ এবং ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নসরুল হামিদ বলেন, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ কিছু প্রভাবশালী মহল এর প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু মনে রাখতে হবে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, এ ব্যাপারে আপসহীন থাকার জোরালো নির্দেশনা রয়েছে তার।’
এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
নসরুল হামিদ জানান, তিত্রাস গ্যাস কোম্পানি গ্যাস লিকেজ বন্ধে পুরনো পাইপলাইন প্রতিস্থাপনে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আওতাধীন এলাকায় ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ ছাড়া গ্যাসের ব্যবহার কমাতে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক, জাপানের জেবিআইসিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছে তিতাস গ্যাস।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ বলেন, গ্যাস লেনদেনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সব বিতরণ ও সঞ্চালন কোম্পানি মিটার স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সহযোগিতার পথে রয়েছে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: নসরুল হামিদ