ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) দাবি করেছে, দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা বিরোধী দলগুলোর ঘোষিত অবরোধ চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যারা বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
এর আগে গাজীপুর ও রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরাণীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে যুবদলের এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
তারা হলেন- মিজানুর রহমান, আমির হোসেন রকি ও সাকিব।
গ্রেপ্তার তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন সিটিটিসি ইউনিটের শীর্ষ কর্মকর্তা।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা ১ নভেম্বর মুগদা এলাকায় মিডলাইন পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় আল আমিনকে আটক করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কীভাবে বাসে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন আল-আমিন।
আল আমিন জানান, টিম লিডার মিজানুরসহ আরও তিনজনের সঙ্গে টিটিপাড়া রেলগেটে এক বোতল পেট্রোল নিয়ে বাসে ওঠেন তিনি। বাসটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা বাসের ভেতরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মিজানুর ওরফে মিজানসহ তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও স্থানীয়দের সহায়তায় আল আমিন মুগদা থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মিজানকে পরে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন, আটক মিজান কীভাবে বাসে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান জানান, ঢাকা মহানগর যুবদলের এক নেতার নির্দেশে মিজানসহ অন্যরা অবরোধের প্রথম পর্বে আরও কয়েকটি বাসে আগুন দেয়।