গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত ৯৯৯ নম্বরে একজন কলার ফোন করে জানান তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং আত্মহত্যা করার জন্য অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। এখন তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং বাঁচতে চান।
জীবন বাঁচানোর জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানিয়ে ওই কলার বলেন, তার শরীর খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।তিনি একটি মেসে থাকেন, সেখান থেকে এতো রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই এবং তার কাছে কোনো টাকাও নেই।
কলারের কাছ থেকে তার ঠিকানা নিয়ে ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসারের সাথে তাকে কথা বলিয়ে দেয়। ৯৯৯ থেকে কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার এস আই রাখাল দেবনাথকে দ্রুত একটি দল পাঠিয়ে কলারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর থানার একটি দল অবিলম্বে কলারের ঠিকানায় যায়। পরে ভোর সাড়ে ৪টায় কালিয়াকৈর থানার এ এস আই আজাদ ৯৯৯ কে ফোনে জানান তিনি ওই মেস থেকে কলারকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির কাছে পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সেখানে দ্রুত ওই যুবকের পাকস্থলী পরিষ্কার করে চিকিৎসা শুরু করা হয়। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পরে ৯৯৯ থেকে এ এস আই আজাদকে ফোন করা হলে তিনি জানান, ওই যুবক সুস্থ আছেন এবং তার পিতা হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন।
ফোন করে খোঁজ নেয়ার সময়, জীবন বাঁচানোর জন্য ৯৯৯ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ওই যুবক।