চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্তার পরে ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত দু'জনকে শনাক্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
চবি প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে এ ঘটনাটির তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, একজন ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রশাসন দু’জনকে শনাক্ত করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন সবুজ বলেন, চবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তের কাজ চলছে। তদন্তের স্বার্থে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের নাম পরিচয় বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য,গত ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হন। তাকে শাররিক নির্যাতন ও তার বন্ধুকে গাছের সাথে বেধেঁ মারধর এবং ছাত্রীকে ভিডিও করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় এ মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই ছাত্রীদের আবাসিক হলে রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে তীব্র আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।