চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ‘টি ফর হারমনি’ ইয়াজি কালচারাল স্যালন ২০২৪ এর দুটি অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে শত শত বাংলাদেশি উপস্থিত হয়ে চীনের চা সংস্কৃতির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের প্রশংসা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে চীনা ভাষা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত সরকার সিনহুয়াকে বলেন, চীনের দীর্ঘ ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কারণে তিনি চীনের চায়ের প্রেমে পড়েছেন।
দীপ্ত সরকার বলেন, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের দেখানো হয়েছে চীনের চা কেমন, কীভাবে এটি তৈরি করা হয় এবং চীনের জনগণের কাছে এর অর্থ কী।
বাংলাদেশের আরেক শিক্ষার্থী আমিনাতুল তাইয়্যেবা চীনের চা ও চা সম্পর্কিত চীনের কবিতা সম্পর্কে জানার পর সিনহুয়াকে বলেন, চীনের চা সংস্কৃতি অন্যান্য দেশের চেয়ে আলাদা।
তাইয়্যেবা বলেন, ‘আমি এই বিষয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি যে, চায়ের উৎপত্তি চীন থেকে এবং চীনে এত বিশাল এবং সমৃদ্ধ চা সংস্কৃতি রয়েছে।’
বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা-সম্পর্কিত বিনিময় অনেক পুরোনো এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনের অংশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
তিনি আরও আশা করছেন, এই ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং চা মেলা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওপেং বলেন, চা চীনের একটি নেম কার্ড, যা সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি বহন করে।
তিনি বলেন, চীনের জনগণের জীবনবোধ, বৈশ্বিক মূল্যবোধ ও চীনা সংস্কৃতির মূল চাবিকাঠির প্রকাশ পায় চায়ের অন্তর্নিহিত ও নিয়ন্ত্রণ করার বৈশিষ্ট্যের মধ্যে।
আশা করা যায়, এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা চীনের চা সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হবে। চায়ের আড্ডায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, চায়ের মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশ করা এবং চায়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার মতো মার্জিত জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে, যাতে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐকমত্য আরও বৃদ্ধি পায়।
চায়না ইন্টারন্যাশনাল কালচার অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী কেন্দ্র যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার