বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি'র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।
এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
উক্ত আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডিএফবি’র সিনিয়র সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।
আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৪৩ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি জনগণের প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছেন। তার যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে জায়গা করে নিয়েছে আরও আগেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বড় প্রকল্পগুলোর উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার, বাস্তবায়নও প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হতে চলেছে।
অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, যা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের দীর্ঘ এই সফল ও গৌরবময় পথচলার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক। আমাদের রয়েছে পদ্মাসেতৃ, কর্নফুলী টানেল, মেট্রোরেলসহ আরও অনেক কিছু।
অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ৩০ লাখ শহীদের প্রাণ, লাখ লাখ মা-বোনের অশ্রু, সম্ভ্রম ও রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় ৭৫ বছরের সুদক্ষ নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত, প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোবিহীন সেদিনের সেই সদ্যোজাত জাতির অর্জনের পরিসংখ্যানও অপ্রতুল নয়। বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ শিক্ষা-দিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। দৃঢ়তার সঙ্গেই বলতে পারি, একে অপরের পরিপূরক। একটিকে ছাড়া অপরটি অকল্পনীয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বাংলাদেশের যে গৌরবময় অর্জন তা অবর্ণনীয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।