জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এই প্লাটফর্ম ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সভায় বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যানের জন্য ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশান প্ল্যানের জন্য ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যানের জন্য ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলো অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সঙ্গে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে বলে জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার এই সুযোগকে পূর্ণ সম্ভাবনার সঙ্গে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দেশের ক্ষমতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।