জলবায়ু সংকট মোকাবিলার সুনির্দিষ্ট এই দশকের শুরুতে গ্লাসগোর কপ-২৬ গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলার বলেছেন, ‘জলবায়ু সংকট চলে এসেছে। এই চ্যালেঞ্জ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে দেয়ার মতো নয়। আমাদেরকে এখনই এর মোকাবিলা করতে হবে।’
মঙ্গলবার সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ সফরকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে যখন কপ-২৬ চলমান, তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কক্সবাজারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জলবায়ু সহনশীলতা প্রকল্পগুলো পরিদর্শন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন ও তার সঙ্গে স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোজন প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতেই তার এই সফর।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহায়তা বাড়াবে জার্মানি
সফরে দ্বীপটিতে তীব্র উপকূলীয় ভাঙন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, স্থানীয় মৎস্য চাষের ওপর এর প্রভাব, প্রবাল কলোনির ক্ষয়সাধন এবং ম্যানগ্রোভ পুনরুদ্ধার ও উপকূলীয় তটরেখা রক্ষার স্থানীয় প্রচেষ্টা সম্পর্কে আরও জেনেছেন রাষ্ট্রদূত মিলার।
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় বেশ কিছু জলবায়ু সহনশীলতা প্রকল্প রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। যেমন, এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে স্থানীয় অধিবাসীদের রক্ষায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ১৪০টিরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র সংস্কার করে দিয়েছে, যাদের একটি সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে ৭০০ টিরও বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে ইউএসএআইডি যা নিরাপদ আশ্রয়স্থল এবং স্কুল উভয় কাজেই ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও, ইউএসএআইডির সহায়তা বন্যা-পূর্বাভাস এবং প্রাথমিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে যাতে স্থানীয় অধিবাসীরা জীবন বাঁচানোর জন্য আশ্রয়স্থলে সরে যেতে পর্যাপ্ত সময় পান।