যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন তাদের তালিকা সংসদে পেশের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে আজাদ।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত আজাদ এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরোপুরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের ইশতেহারেও তা উল্লেখ করা হয়েছে।
আজাদ বলেন, ‘সবার আগে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে পিকে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংকের রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়ে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবে এর পরিমাণ আরও অনেক বেশি। যারা ঋণ নিয়েছেন ও কারখানায় বিনিয়োগ করেছেন এবং পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের তদন্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস’র জামিন মঞ্জুর
যারা ঋণের টাকা কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করেনি, বরং টাকা পাচার করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও দাবি করেন, ‘তারা বেগম পাড়ায় বাড়ি তৈরি করেছেন। তাদের তালিকা সংসদে প্রকাশ করতে হবে।’
তাদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য বলেন, যারা ব্যাংক লুট করেছে তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী।
আজাদ বলেন, তিনি এই সংসদের মাধ্যমে দেশবাসী ও ভোটারদের কাছে জবাবদিহি করতে চান।
তিনি আরও বলেন, তিনি সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সংসদকে কার্যকর ও প্রাণবন্ত করতে চান।
এ ব্যাপারে তিনি স্পিকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের