বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ।
জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে দেশে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তবে এই ধারাবাহিকতার পতন হয়েছে ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। এই ছয় দিনে মোট ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান, এ বছর যার তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
আরও পড়ুন: কারফিউয়ের মধ্যে ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি
দেশে চলমান কারফিউয়ের মাঝে গত বুধবার থেকে সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর ব্যাংকিং কার্যক্রম ফের চালু হওয়ায় মাসের শেষ দিনগুলোতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
এ বিষয়ে তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘নস্ট্রো অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে (দেশীয় ব্যাংকগুলোর বিদেশে থাকা হিসাব) রেমিট্যান্সের হিসাব পুরোপুরি মিলছে না। তবে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক হলে মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের পুরো হিসাব পাওয়া যাবে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলা সহিংসতার কারণে গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এই সময়ের মধ্যে মাত্র এক দিন ব্যাংক খোলা ছিল। এরইমধ্যে দেশের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। আবার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল।
২৪ জুলাই সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ২৫৫২১ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে। মার্চে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৯ কোটি ডলার। এর আগে জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার। এপ্রিলে ২০৪ কোটি ডলার এবং মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এরপর জুন মাসে রেকর্ড ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল ২৫৯ কোটি ডলার।