তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি ও শহীদ মুগ্ধের ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে সেক্রেটারি করে গঠন করা হবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এমন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাত সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটার নিবন্ধন করা হয়েছে। আর অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এই ফাউন্ডেশনের সভাপতি। আর সেক্রেটারি হচ্ছেন শহীদ মুগ্ধর মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘কাজী ওয়াকার আহমেদ হচ্ছেন কোষাধ্যক। দক্ষতার জন্য তাকে এই পদে রাখা হয়েছে। উপদেষ্টাদের মধ্যে আছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এতে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যোগ হবেন।’
এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকার ওপর ভিত্তি করে শহীদ স্মরণসভা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শহীদদের যে তালিকা করছে, সেটার ওপর ওপর ভিত্তি করেই স্মরণসভা হবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বা আশপাশের একটা দিন সেটার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা ছিল। তালিকা তৈরির কাজ যেহেতু চলছে, সেহেতু ১৪
সেপ্টেম্বর স্মরণসভা করা হচ্ছে না। তালিকা চূড়ান্ত হলে সেটার ওপর ভিত্তি করে স্মরণসভার আয়োজন করব। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ৭২৮ জনের তালিকা এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। তাদের ঠিকানা খুঁজে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আর ২০ হাজার ২৬৩ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র অনুসারে ৮০০ জন শহীদের একটা তালিকা আছে, যেটার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদেরও তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী রবিবারের মধ্যে একটি চূড়ান্ত তালিকা হয়ত পাব।’
উপদেষ্টা বলেন, শহীদ স্মরণসভার বাজেট নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে কিছু কথা উঠেছে, এটা আসলে একটা বিভ্রান্তি হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় যে এখানে পাঁচ কোটি টাকাই খরচ হবে। খরচটা আরও অনেক কমের মধ্যেই হবে। মূলত ৬৪ জেলা থেকে শহীদ পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় নিয়ে এসে তাদের এক রাত থাকার ব্যবস্থা করতে বেশিরভাগ ব্যয় হবে। এখানে কোনো ধরনের সাজসজ্জ্বা বা অতিরিক্ত খরচের ব্যবস্থা নেই। আর এটা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি। আমরা চেয়েছিলাম, সব শহীদ পরিবারকে এক জায়গায় করা এবং তাদের থেকে আরও তথ্য পাওয়ার আছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার বিষয়ও আছে। সেটা খুবই দ্রুতই হবে।