সরকার বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি)বৃহত্তর বিনিয়োগ চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বেইজিংভিত্তিক বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা চাই এআইআইবি এসব খাতে আরও বড় ভূমিকা পালন করুক।’
মঙ্গবার (৫ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এআইআইবির সহ-সভাপতি রজত মিশ্রের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এআইআইবির ৯৫৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তায় বিদ্যুৎ খাতে চারটি সঞ্চালন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং বহুপাক্ষিক ব্যাংকের বিনিয়োগের জন্য ৩ হাজার ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আরও ছয়টি প্রকল্পের প্রস্তাব রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, ভূগর্ভস্থ সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইনের আধুনিকায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্যাস মিটার, স্টোরেজ সিস্টেম, বায়ু জ্বালানি এবং তাদের উপখাতগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্চ নয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়ল বিদ্যুতের দাম
আমরা মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চাই। আমাদের অগ্রগতির যাত্রাপথে এআইআইবি-কে অংশীদার করতে চাই।
তিনি বলেন, সরকার মাথাপিছু বিদ্যুৎ বিদ্যমান ৬০২ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে ১ হাজার ৫০০ কিলোওয়াট ঘণ্টায় উন্নীত করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে চায়। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার জন্য বিপুল বিনিয়োগের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
রজত মিশ্র বলেন, বাংলাদেশ এআইআইবির অন্যতম অংশীদার।
এনার্জি মাস্টার প্ল্যান ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এআইআইবি বাংলাদেশে একটি বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে।
বৈঠকে ট্রান্সমিশন সিস্টেমের বেসরকারিকরণ, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে এআইআইবির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ হরিভাস্কর রঙ্গরাজন, ঊর্ধ্বতন পরিবহন বিশেষজ্ঞ ফরহাদ আহমেদ, জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাইকারি গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ